মো: আল-আমিন (পটুয়াখালী): পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জ উপজেলা পরিষদসহ উপজেলার বিভিন্ন অবকাঠামো ও আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের ছোঁয়ায় পাল্টে গেছে গ্রামীণ যোগাযোগ ব্যবস্থা।
বিগত এক দশকে কয়েক কোটি টাকার উন্নয়ন প্রকল্প বাস্তায়িত করেছে উপজেলা এলজিইআরডি বিভাগ।
শহরের আধুনিকতার সঙ্গে তাল মেলাচ্ছে গ্রাম। শহরের সুবিধা পৌঁছে যাচ্ছে গ্রামেও। বদলে গেছে গ্রামীণ জীবন। গ্রামের রাস্তা-ঘাটের উন্নয়ন হলে শহরের সকল সুবিধা পাওয়া যায় গ্রামে। গ্রামে মাটির ঘর এখন আর নেই। পাকা পাকা ভবনের ভীরে কাঠের টিনের ঘরও হারিয়ে যেতে বসেছে। অধিকাংশ গ্রামেই দেখা মেলে পাঁকা বা আধাপাঁকা বাড়ি। সরকারের স্থায়িত্বে উন্নয়নের সুফল প্রান্তিক পর্যায়ে পৌঁছে যাচ্ছে আর ক্রমশ বদলে যাচ্ছে সবকিছু। ভূমিহীন-গৃহহীনরা সরকারের দেয়া বিনা পয়সায় ঘর পাচ্ছে। সরকার গৃহীত নানা প্রকল্পের কারণেই গ্রামীণ অর্থনীতিতে পরিবর্তন এসেছে।
উপজেলা এলজিডি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নে গত অর্থ বছরে নতুন ১৮টি রাস্তার ২৬ কিলোমিটার সড়ক কার্পেটিং করা হয়েছে। সড়কগুলো হচ্ছে-পটুয়াখালী-বেতাগী আরএইচবি এইচও ইসমাইল মাষ্টার রোড, পূর্ব রামপুর জিপিএস কাজীবাড়ি আনন্দ বাজার আক্কাস সিকদার সন্তোষপুর জিপিএস, উত্তর বাজিতা জিপিএস পশ্চিম এইচও খালেক মৃধা রোড, মির্জাগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদ মুন্সিরহাট ইউনিয়ন রোড, মাধবখালী আশ্রাফ প্রফেসার উত্তর মাধবখালী জিপিএস রোড, ছোট ছৈলাবুনিয়া শ্রীমন্ত পর্যন্ত রোড ও কাঠালতলী বাজার রোড।
এছাড়াও চারতলা উপজেলা পরিষদ ভবন উদ্বোধন করা হয়েছে, ৫০০ শয্যা অডিটরিয়াম, উপজেলা পরিষদের মধ্যে সড়কগুলোর লাইটের আলোর নতুনরুপ সাজানো হয়েছে। শ্রীমন্ত নদীর উপরে ঝাটিবুনিয়া ও রামপুর এলাকায় দুইটি ব্রীজ। এতে উপজেলার চিত্র পাল্টে গেছে।
পিছিয়ে পড়া মানুষ গ্রামে বাস করে, তাদের যোগাযোগ ব্যবস্থাসহ গ্রামীণ উন্নয়নে কাজ করেন একমাত্র এলজিইডিই বিভাগ।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য মো. মাসুদ রানা জালাল জোমাদ্দার বলেন, গ্রামাঞ্চলের অনেক রাস্তা-ঘাটের অনেক পরিবর্তন হয়েছে। যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, কৃষি, শিক্ষা ও স্বাস্থ্যের অগ্রগতি, কর্মসংস্থান সৃষ্টি, জীবিকা ও উন্নত জীবন ব্যবস্থা তথা মানবসম্পদ উন্নয়নসহ গ্রামীণ অবকাঠামোর আমূল পরিবর্তনে একের পর এক প্রকল্প বাস্তবায়ন করে মির্জাগঞ্জ উপজেলা প্রকৌশলী (এলজিইডি) সর্বমহলে প্রশংসা কুড়িয়েছে।
সূত্রে জানা যায়, রাস্তা ভাল হওয়ায় এলাকার ছেলেমেয়ে সহজে স্কুলে যেতে পারে। কেউ কেউ অটোরিক্সা বা ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালিয়েও জীবিকা নির্বাহ করছেন।
এ ব্যাপারে উপজেলা প্রকৌশলী মোঃ আলমগীর বাদশা জানান, গত অর্থবছরে মির্জাগঞ্জ উপজেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো উন্নয়নে বিভিন্ন প্রকল্পের ১৮টি কার্পেটিং রাস্তার কাজ শেষ হয়েছে এবং আরো করেকটি কাজ চলমান আছে। টেকসই গ্রামীণ সড়ক নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার লক্ষ্যে বাস্তবায়িত এসব সড়ক সারা বছরের জন্য চলাচলের উপযোগী করে রাখার জন্য নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ করে যাচ্ছে উপজেলা এলজিইডি বিভাগ। ফলে গ্রামীণ অর্থনীতি ও সামাজিক সকল কর্মকান্ড চাঙ্গা থাকে, সাশ্রয় হয় অর্থের, আর মানুষ পায় নিরাপদ ও শান্তিময় পথ চলার আনন্দ। নদ-নদী ও খালের উপর ব্রীজ / কালভার্ট নির্মাণ করে মির্জাগঞ্জ উপজেলা এলজিইডি বিভাগ জনজীবনে নতুন সম্ভাবনার দ্বার উন্মেচন করেছে। নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে এলজিইডি নতুন নতুন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে।