শিরোনাম

ভোলার দুই নদীতে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা

Views: 44

বরিশাল অফিস : ভোলার মেঘনা ও তেঁতুলিয়া দুই নদীর ১৯০ কিলোমিটার এলাকাজুড়ে ইলিশ ধরায় নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়েছে।

এ নিষেধাজ্ঞা আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) মধ্যরাত থেকে শুরু হয়ে শেষ হবে ৩০ এপ্রিল মধ্যরাতে।

অর্থাৎ নদী থেকে ইলিশ আহরণে ২ মাসের নিষেধাজ্ঞায় পড়তে হচ্ছে ভোলার জেলেদের। তাই এই দুই মাস বেকার হয়ে পড়বেন উপকূলের দুই লাখের বেশি জেলে।

যে কারণে অভাব, অনটন আর অনিশ্চয়তায় পড়তে যাচ্ছেন তারা। কীভাবে বেকার সময় পার করবেন সেই চিন্তায় দিশেহারা হয়ে পড়েছেন জেলেরা।

তাই নিষেধাজ্ঞার সময়কালে জেলেদের মাঝে পুনর্বাসনের চাল বিতরণের দাবি তাদের। উপকূলের জেলেরা জানান, গত মৌসুমে পুরো সময়জুড়ে ইলিশ সংকট থাকায় এ বছরের শুরুটা ভালো যায়নি ভোলার জেলেদের।

নদীতে ইলিশ শূন্যতায় বার বার আর্থিকভাবে ধাক্কা খেতে হয়েছে তাদের। এমন সংকটের মধ্যে আবার চলে আসছে ইলিশ ধরায় দুই মাসের নিষেধাজ্ঞা।

দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির দিনে কীভাবে পরিবার-পরিজন নিয়ে দিন কাটাবেন এমন দুশ্চিন্তার ছাপ তাদের চোখ-মুখে।

 

আড়তে নিলাম হচ্ছে ইলিশ :–

জেলে সাহাবুদ্দিন ও ছিদ্দিক বলেন, ধারদেনা করে কাটিয়েছি পুরো মৌসুম। এরমধ্যে আবার চলে এসেছে অভিযান। এখন আমরা সংকটে পড়েছি।

জানা গেছে, মাছ ধরেই চলে জেলেদের জীবন-জীবিকা। নদীতে মাছের সংকট বা মাছ ধরা বন্ধ থাকলে তাদের জীবনে নেমে আসে চরম সংকট। নিষেধাজ্ঞাকালীন পুনর্বাসনের জন্য চাল বরাদ্দ হলে সে চাল পৌঁছায় না অনেক জেলের ভাগ্যে।

তুলাতলীর ঘাটের জেলে রহিম ও লোকমান বলেন, আমাদের দাবি, নিষেধাজ্ঞার সময়ে জেলে পুনর্বাসনের চাল যেন দ্রুত দেওয়া হয়।

ঘাটের আড়তদার মো. মনজুরুল আলম বলেন, দুই মাস ইলিশ শিকার বন্ধ, অনেকে জেলে ঘাটে ফিরেছেন। অনেকে আবার ফেরার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আমরাও আড়ত বন্ধ করার প্রস্তুতি নিচ্ছি। জেলেদেরকেও আমরা মাছ ধরা থেকে বিরত রাখতে বলেছি।

তবে ইলিশের অভয়াশ্রম রক্ষায় জেলেদের সচেতনতার পাশাপাশি সব ধরনের অভিযানের কথা জানান জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. আবুল কালাম আজাদ।

তিনি বলেন, জেলেরা যেহেতু বেকার থাকবেন। তাই দুই মাসে জেলে পুনর্বাসনের জন্য নিবন্ধিত প্রত্যেক জেলে পরিবারকে ৪০ কেজি করে চাল দেওয়া হবে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *