আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমগুলোর প্রতিবেদন অনুসারে, মামলা করা মিডিয়াগুলো অস্ট্রিয়া, বেলজিয়াম, বুলগেরিয়া, চেক রিপাবলিক, ডেনমার্ক, ফিনল্যান্ড, হাঙ্গেরি, লুক্সেমবার্গ, নেদারল্যান্ডস, নরওয়ে, পোল্যান্ড, স্পেন ও সুইডেনের। মামলায় বাদিপক্ষের আইনজীবী হিসেবে রয়েছে ইউরোপের দুই শীর্ষস্থানীয় আইনী প্রতিষ্ঠান গেরাডিন পার্টনার্স ও স্টেক।
এক বিবৃতিতে গেরাডিন পার্টনার্স ও স্টেক জানিয়েছে, বিশ্বজুড়ে গুগলের ব্যাপক প্রভাব রয়েছে। আর প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের বাজারে নিজের প্রভাবের গুরুতর অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। গুগলের কারণে ডিজিটাল বিজ্ঞাপনের আন্তর্জাতিক বাজার এখন একপ্রকার প্রতিযোগিতাহীন হয়ে পড়েছে।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গুগলের কারণে ডিজিটাল বিজ্ঞাপন খাত থেকে সংবাদমাধ্যমগুলোর আয়ও ব্যাপক হারে কমে গেছে। এমনকি, বিশ্বের প্রায় সব প্রতিষ্ঠান এখন গুগলে বিজ্ঞাপন দিতে অধিক আগ্রহী হওয়ায় অনেক সংবাদমাধ্যম ও মিডিয়া কোম্পানি এখন তাদের নির্ধারিত চার্জ থেকে অনেক কম টাকায় বিজ্ঞাপন প্রকাশ করতে বাধ্য হচ্ছে।
‘গুগলের উচিত ছিল নিজেদের ইচ্ছামতো বিজ্ঞাপন নীতি প্রণয়ন না করে বর্তমান বাজারের সঙ্গে মিল রেখে সুষম একটি নীতি নেওয়া। এ ইস্যুতে এর আগেও প্রতিষ্ঠানটিকে কয়েক বার বার্তা দেওয়া হয়েছে, কিন্তু গুগল তাতে গুরুত্ব দেয়নি।’
এদিকে, পাল্টা বিবৃতি দিয়ে গুগল বলেছে, এই মামলার অভিযোগগুলো কাল্পনিক। সুবিধাবাদী মিডিয়া গ্রুপগুলো উদ্দেশ্য প্রণোদিতভাবে এই মামলা করেছে। ইউরোপীয় মিডিয়ার সঙ্গে গঠনমূলক সম্পর্ক বজায় রাখতে গুগল সব সময় চেষ্টা করেছে, এখনো করছে। তাছাড়া ইউরোপীয় সংবাদ সংস্থাগুলোর বেঁধে দেওয়া দরেই বিজ্ঞাপন প্রকাশ করে আসছে গুগল।
এর আগেও বিজ্ঞাপন সংক্রান্ত নীতির কারণে গুগলকে সাজা পেতে হয়েছে। ২০২১ সালে ফ্রান্সের সংবাদমাধম কর্তৃপক্ষ ও ২০২৩ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) নির্বাহী সংস্থা ইউরোপীয় কমিশন গুগলকে মোট ২২ কোটি ইউরো জরিমানা করেছিল।
সূত্র: রয়টার্স