শিরোনাম

এক যুগ পর রুনা লায়লা

Views: 49
 চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক:  উপমহাদেশের জীবন্ত কিংবদন্তি সংগীতশিল্পী রুনা লায়লা। তিনি তার কণ্ঠের মায়াময় জাদুতে মোহিত করে রাখছেন প্রজন্মের পর প্রজন্ম গান পিপাসুদের। তিনি বাংলাদেশের সংগীত ভুবনের শ্রেষ্ঠতম শিল্পীদের একজন বলে বিবেচিত।

রুনা লায়লা সিনেমা ও অ্যালবামের পাশাপাশি বাংলাদেশ বেতারে নিয়মিত সংগীত পরিবেশন করতেন। বিভিন্ন কারণে ধীরে ধীরে বেতারে সংগীত পরিবেশন কমিয়ে দেন তিনি।

এবার রুনা লায়লা দীর্ঘ এক যুগ পর আবারও বাংলাদেশ বেতারে সংগীত পরিবেশন করেছেন। ২৯ ফেব্রুয়ারি তার গাওয়া এ গানটি রেকর্ডিং করা হয়। এর আগে সব শেষ ২০১১ সালের দিকে বাংলাদেশ বেতারে একটি গান গেয়েছিলেন এ শিল্পী।

রুনা লায়লার কণ্ঠের এ গানটিতে সুর করেছেন সাদেক আলী। বাংলাদেশ বেতারের ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিসের তত্ত্বাবধানে তৈরি এ গানের কথা লিখেছেন সুমন সরদার। রুনা লায়লা সংগীত পরিবেশন ছাড়াও বেতারের ট্রান্সক্রিপশন সার্ভিসের জন্য একটি সাক্ষাৎকার দেন।

তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন বাংলাদেশ বেতারে সাবেক কর্মকর্তা আবু নওশের। এ শিল্পীর জীবনের বিভিন্ন দিক নিয়ে এ সাক্ষাৎকার গ্রহণ করা হয়। রুনা লায়লার গাওয়া নতুন এ গান ও সাক্ষাৎকারটি শিগগির প্রচার করা হবে।

বাংলাদেশ বেতারে রুনা লায়লার সংগীত পরিবেশন নিয়ে বেতারের একটি সূত্র জাগো নিউজকে জানিয়েছে, দেশের সংগীতের উজ্জ্বল নক্ষত্র রুনা লায়লা আজ (২৯ ফেব্রুয়ারি) বেতারে গান গাইতে এসেছিলেন।

সূত্রটি আরও জানিয়েছে, রুনা লায়লার উপস্থিতে বেতারে সব শ্রেণির কর্তকর্তরা বেশ আনন্দিত। তিনি দীর্ঘদিন পর বেতারে এসেছেন। বেতার কর্তৃপক্ষ আশা করছে এখন থেকে তিনি আবারও নিয়মিত এখানে গান পরিবেশন করতে আসবেন।

রুনা লায়লা তার কণ্ঠের মাধ্যমে বাংলাদেশকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন। সংগীত জীবনে প্রায় ১০ হাজার গান গেয়েছেন বরেণ্য এ শিল্পী। বাংলাদেশের সিনেমা ছাড়াও তিনি হিন্দি ও উর্দু ভাষায় ভারতীয় ও পাকিস্তানি সিনেমায় গান গেয়েছেন।

এ ছাড়াও রুনা লায়লা পাঞ্জাবি, সিন্ধি, পশতুন, গুজরাটি সিনেমায় গান গেয়েছেন। তার গাওয়া অসংখ্য গান প্রতিনিয়ত এ দেশের মানুষের মুখে মুখে ফেরে।

‘বন্ধু তিন দিন তোর বাড়িতে গেলাম’, ‘বাড়ির মানুষ কয়’, ‘ইস্টিশনের রেলগাড়িটা’, ‘আমি নদীর মতো কত পথ ঘুরে’, ‘ওই দুলছে দেখো দোলনচাঁপা দুলছে’, ‘গানেরই খাতায় স্বরলিপি’, ‘ও আমার জীবন সাথী’, ‘তুমিই বড় ভাগ্যবতী’, ‘শিল্পী আমি তোমাদেরই গান শোনাব’, ‘যখন থামবে কোলাহল’, ‘যখন আমি থাকব না’, ‘বৃষ্টিভেজা রাতে’, ‘পান খাইয়া ঠোঁট’সহ অসংখ্য শ্রোতানন্দিত গান তিনি উপহার দিয়েছেন।

আশির দশকের শুরুর দিকে রুনা লায়লা ভারতের শ্রীনগরের একটি হাসপাতাল নির্মাণের জন্য তহবিল গঠনের বিনা পারিশ্রমিকে গান গেয়েছিলেন। সেই হাসপাতালে আজও লেখা আছে, ‘ডোনেটেড বাই রুনা লায়লা’। রুনা লায়লা বাংলাদেশের গর্ব এবং অহংকার।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *