শিরোনাম

বম্বে মরিচ চাষে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন গাজী হেমায়েত উদ্দিনের

Views: 69
প্রথমে তিনি শুরু করেন বম্বে মরিচের চাষ। এতেই সাফল্য এসে ধরা দেয় তাকে। চলতি বছর তিনি শুধু বম্বে মরিচ চাষ করেই উপার্জন করেছেন প্রায় তিন লাখ টাকা। মাত্র ৩৫ শতাংশ জমিতে বম্বে মরিচ চাষ করে সারা বছর তিনি মরিচ বিক্রি করেন। এ ছাড়াও তিনি এ বছর মৌসুমি সবজি চাষ করে আয় করেন ১০ লাখ টাকারও বেশি।

বঙ্গোপসাগর তীরবর্তী কলাপাড়া উপজেলার নীলগঞ্জ ইউনিয়নের পাখিমারা গ্রামে হেমায়েত উদ্দিনের বাড়ি। বাড়ির পাশেই পৈতৃক সূত্রে পাওয়া জমিতে তিনি গড়ে তুলেছেন কৃষি খামার। সম্প্রতি সরেজমিন ওই খামারে গিয়ে দেখা গেছে, তিনি মাত্র ৩৫ শতাংশ জমিতে বম্বে মরিচের চাষ করেছেন। পুরো মরিচ ক্ষেতজুড়ে তিনি পলিথিনের ছাউনি দিয়ে ঢেকে রেখেছেন যাতে অতিবর্ষণ বা অধিক তাপমাত্রায় মরিচ গাছের কোনো ক্ষতি না হয়। তিনি সার্বক্ষণিক তার খেতের পরিচর্যায় ব্যস্ত থাকেন।

পাখিমারা এলাকায় এটি ‘পাখিমারা খাল’ এবং কুমিরমারা এলাকায় ‘কুমিরমারা খাল’ নামে পরিচিত। এই খালের পানি লবণাক্ততার কারণে নীলগঞ্জে এক সময় একটি মাত্র ফসল হতো। ২০০৫ সালে স্থানীয় কৃষকরা সারা বছর ফসল চাষের জন্য খালের বিশুদ্ধ পানি সংরক্ষণের জন্য পরামর্শ করতে একত্রিত হন। তারা খালের উপর চারটি অস্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করেন। পরে এই বাঁধের কারণেই তারা মিষ্টি পানি সংরক্ষণ করতে সক্ষম হন। এভাবে ইউনিয়নের ১৫টি গ্রামের প্রায় ১০ হাজার কৃষক আমন ধান চাষের পাশাপাশি সবজি চাষ করে ব্যাপক সাফল্য পেতে শুরু করেন।

কলাপাড়া উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কর্মকর্তা আর এম সাইফুল্লাহ বলেন, আমরা কৃষকদেরকে প্রয়োজনীয় কারিগড়ি সহায়তা দিয়ে থাকি। এখানে প্রতি বছর ১০-১৫ টন সবজি উৎপাদন হয়, যার অর্থনৈতিক মূল্য দাঁড়ায় প্রায় ১৫ কোটি টাকা।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *