শিরোনাম

থাইল্যান্ডের মাটিতে পা রেখেই গ্রেপ্তার থাকসিন সিনাওয়াত্রা

Views: 27

চন্দ্রদীপ নিউজ ডেস্ক :  থাইল্যান্ডের সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা ১৫ বছর স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকার পর দেশে ফিরেই গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাকে এখন আদালতে নেওয়া হচ্ছে। পরে তাকে কারাগারে পাঠানো হতে পারে। কাতার ভিত্তিক সংবাদ মাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে এ তথ্য জানানো হয়েছে।

বার্তাসংস্থা এএফপি জানায়, পার্লামেন্টে থাকসিনের দলের মনোনীত প্রার্থীকে প্রধানমন্ত্রী পদে নিয়োগ দেওয়ার ভোট শুরুর কয়েক ঘণ্টা আগে তিনি গ্রেপ্তার হন।

১৫ বছর স্বেচ্ছা নির্বাসনে থাকার পর আজ মঙ্গলবার (২২ আগস্ট) সকালে দেশে ফেরেন থাকসিন সিনাওয়াত্রা। স্থানীয় সময় সকাল ৯টা দিকে একটি প্রাইভেট প্লেনে করে দুবাই থেকে ব্যাংককের ডন মুয়েং বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে ছিলেন তিনি।

দেশে ফেরার সময় তার শত শত সমর্থক উল্লাস প্রকাশ করেন।
এছাড়া থাকসিনের প্রত্যাবর্তনের সাক্ষী হতে উত্তর-পূর্ব থাইল্যান্ড থেকে তার অসংখ্য সমর্থক রাতারাতি ব্যাংককে চলে আসেন। কিন্তু থাকসিনকে তারা খুব বেশি সময় দেখতে পারেননি। দুই মেয়ে ও ছেলেকে নিয়ে রাজা ও রানির প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানাতে খুব অল্প সময়ের জন্য বিমানবন্দর টার্মিনাল থেকে বের হন তিনি।

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, থাইল্যান্ডের সবচেয়ে সফল এ নেতাকে ভয় পায় দেশটির রক্ষণশীল রাজ পরিবারের সদস্যরা। থাকসিনকে দুর্বল করতে সামরিক অভ্যুত্থান ও একাধিক বিতর্কিত মামলা দায়ের করার পেছনে সমর্থন ছিল রাজ পরিবারের।

বলা হচ্ছে, থাকসিনের এ প্রত্যাবর্তন সাম্প্রতিক সময়ে থাইল্যান্ডে চলমান রাজনৈতিক উত্তেজনা আরও বাড়িয়ে দিতে পারে। যদিও তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় ১০ বছরের সাজা জারি রয়েছে।

থাইল্যান্ডের সাবেক টেলিকমিউনিকেশন টাইকুন থাকসিন ২০০১ থেকে ২০০৬ সাল পর্যন্ত দেশটির ক্ষমতায় ছিলেন। বলা হয়, থাইল্যান্ডের ইতিহাসে সবচেয়ে জনপ্রিয় প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তিনি। তবে ২০০৬ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ৭৪ বছর বয়সী এ বিলিয়নেয়ারকে ক্ষমতাচ্যুত করা হয়।

পরবর্তী সময়ে থাকসিন ক্ষমতার অপব্যবহারের দায়ে দণ্ডিত হন ও কারাগারে যাওয়া এড়াতে স্বেচ্ছায় নির্বাসনে যান। দীর্ঘ ১৫ বছরের নির্বাসিত জীবনের বেশিরভাগ সময়ই তিনি মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সংযুক্ত আরব আমিরাতে কাটান।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *