চন্দ্রদীপ ডেস্ক : ভিটামিন ডি হলো চর্বিতে দ্রবণীয় একটি সেকোস্টেরয়েড গ্রুপ যা ক্যালসিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম ও ফসফেট এর আন্ত্রিক শোষণ এবং মানবদেহে বিভিন্ন জৈবিক প্রভাব সৃষ্টির জন্য দায়ী। আমাদের শরীর নিজে থেকেই এই ভিটামিন সংশ্লেষ করতে পারে। তবে তার জন্য জরুরি পর্যাপ্ত সূর্যালোকের। খুব তীব্র নয় এমন রোদে গিয়ে ১০ থেকে ২০ মিনিট দাঁড়ালেই অনেকটা উপকার মেলে। তবে এই সময় এখনের অভাব। ভিটামিন ডি খাবারের থেকেও সংগ্রহ করা যেতে পারে। হালকা কিছু ফল ভিটামিন ডি-এর সেরা উৎস।
কিসমিস
কিসমিসের প্রতি ১০০ গ্রামে ৮০ আইইউ-এর (ইন্টারন্যাশনাল ইউনিট) বেশি ভিটামিন ডি রয়েছে। এছাড়াও এর মধ্যে ফাইবার ও আয়রনের মতো গুরুত্বপূর্ণ উপাদান রয়েছে।
আলুবোখারা
আলুবোখরার প্রতি ১০০ গ্রামে ভিটামিন ডি ৩ মিলিগ্রামেরও বেশি। তাই ঐই খাবারটাও রাখতে পারেন রোজকার তালিকায়।
আমন্ড
আমন্ডের মধ্যেও রয়েছে ভিটামিন ডি-এর গুণ। রোজ আমাদের যতটা ভিটামিন ডি জরুরি , তার প্রায় ১০ শতাংশ জোগান দেয় আমন্ড। আমন্ড খাওয়ার আগে কিছুক্ষণ জলে ভিজিয়ে রেখে দিতে পারেন।
খোবানি
এতে প্রতি ১০০ গ্রামে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ ১.৫ আইইউ। এছাড়াও এতে পটাশিয়াম, আয়রন ও ভিটামিন এ রয়েছে। তাই রোজকার তালিকায় রাখতেই পারেন।
শুকনা ডুমুর
ডুমুর ফলেও ভিটামিন ডি প্রচুর পরিমাণে রয়েছে । প্রতি ১০০ গ্রামে ভিটামিন ডি-এর পরিমাণ ৩ আইইউ। পাশাপাশি ডুমুরের মধ্যে ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালসিয়াম ফাইবার ও পটাশিয়ামের পরিমাণ অনেকটাই বেশি।
কতটুুক ফল খাবেন?
রোজ ফল খাওয়া ভালো। বিশেষত এই ফলগুলো শরীরে ভিটামিন ডি-এর চাহিদা মেটায়। কিন্তু রোজ অল্প পরিমাণ যেমন হাফ কাপের বেশি না খাওয়াই ভাল। অতিরিক্ত ভিটামিন ডি থেকে বমি, মাথা ঘোরার সমস্যা হতে পারে।