শিরোনাম

ধর্ষণে অন্তঃসত্ত্বা কিশোরী, অভিযুক্ত উধাও

Views: 71

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :

পটুয়াখালীর দুমকিতে ধর্ষণের ঘটনায় ১২ বছরের এক কিশোরী স্কুলছাত্রী অন্তঃসত্ত্বার অভিযোগ উঠেছে।

অভিযুক্তের নাম দুলাল খন্দকার (৩৮)। তিনি তিন সন্তানের জনক। ধর্ষণের শিকার ওই কিশোরী দুমকি নাসিমা কেরামত আলী বালিকা মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের সপ্তম শ্রেণির শিক্ষার্থী (১২)।

এঘটনার সুবিচার পেয়ে আইনি সহায়তা দাবি করেছে ওই কিশোরীর পরিবার।

অভিযুক্ত দুলাল খন্দকার উপজেলার শ্রীরামপুর ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের বারেক খন্দকারের ছেলে। এ বিষয়টি জানাজানি হলে অভিযুক্ত দুলাল গাঢাকা দেয়।

স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মা না থাকায় ওই কিশোরী তার বাবা এবং দাদির সাথেই বসবাস করে। তার বাবা সারাদিন বাইরে থাকায় দাদির তত্ত্বাবধানেই থাকে। গত ৮ মাস আগে দাদির অনুপস্থিতিতে ওই কিশোরীকে ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে প্রতিবেশী দুলাল।

ভুক্তভোগী ওই কিশোরী জানায়, অভিযুক্ত দুলাল প্রায়শই মাছ ধরার ছুঁতোয় তাদের ঘরের পাশে এসে মোবাইলে সিনেমা চালু করে দিয়ে যেত এবং বিভিন্ন ছল-ছুঁতোয় আশপাশে ঘোরাফেরা করত। প্রায় ৮ মাস আগে গত বছর শ্রাবণ মাসে বৃষ্টির সময় কিশোরীর দাদি পাশের বাড়ি পান আনতে যায়। এসময় কিশোরীকে ঘরে একা পেয়ে দুলাল জোরপূর্বক জড়িয়ে ধরে ছবি তোলে ও নানা ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। এঘটনা কাউকে জানাতে চাইলে বাবা, দাদি, চাচা ও তাকে হত্যা করবে বলে হুমকি দিয়ে চলে যায়। ভয়ে কিশোরী এ নিয়ে কাউকে কিছু জানায়নি। অন্তঃসত্ত্বার বিষয়টি টের পেয়ে অভিযুক্ত দুলাল কিশোরীর গর্ভপাত করানোর চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয়। বর্তমানে সে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা।

কিশোরীর বাবা কবির খন্দকার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, মেয়েটির মা নেই, ওর দাদি কানে শোনে না এবং চোখেও দেখে না। আমি গাড়ি চালাই, বাইরে থাকি। এ সুযোগ নিয়ে দুলাল আমার মেয়ের যে ক্ষতি করেছে তার উপযুক্ত বিচার চাই।

স্থানীয় ইউপি সদস্য জলিল হাওলাদার বলেন, ঘটনাটি জানাজানির পরে উভয় পক্ষ আমার সাথে যোগাযোগ করেছে। আমি বিষয়টিকে সালিশ-অযোগ্য ঘটনা বলে তাদের আইনের আশ্রয় নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছি।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে দুমকি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) তারেক মোহাম্মদ হান্নান জানান, লিখিত অভিযোগ পেলে তদন্তসাপেক্ষে উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

 

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *