পটুয়াখালী প্রতিনিধি :
চার মাস আগের ঝড়ের ঘটনা, পেটের তাগিদে গভীর সাগরে মাছ ধরতে গিয়ে ঘূর্ণিঝড় মিধিলির ঝড়ের কবলে নিখোঁজ হয় পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার ২৫ জেলে। যাদের সন্ধান আজো মেলেনি। এখন পরিবারের আকুতি-নিখোঁজ জেলেদের ভাগ্যে কি ঘটেছে? তা জানতে চান তারা।
জানা গেছে, গভীর বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে গত বছরের ১৭ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় মিধিলির কবলে পড়ে নিখোঁজ হয় ২৫ জেলে। ঘটনার চার মাস হয়ে গেলেও তাদের কোনো সন্ধান পাওয়া যায়নি। নিখোঁজ জেলেদের মধ্যে তিন বোনের তিন ছেলে রয়েছে।
তারা হলেন- উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া গ্রামের জিসান, নয়াভাঙ্গুনি গ্রামের তামিম ও কামরুল।
ওই ইউনিয়নের কাউখালী গ্রামের বাসিন্দা হাসান জোমাদ্দারের ট্রলারে মাছ ধরতে গিয়েছিলেন তিন খালাতো ভাই। কিন্তু ঝড়ের পর বাড়ি ফেরা হয়নি তাদের। তাই দিশেহারা তাদের পরিবার।
নিখোঁজ তিন জেলের মামা শিহাব উদ্দিন বলেন, ‘প্রশাসনকে জানিয়েছি। আমরা ট্রলার নিয়ে অনেক খোঁজাখুঁজি করেছি। ওরা বেঁচে আছে নাকি নাই তাও জানতে পারছি না।’
শুধু এ তিন জেলে পরিবারের এমন হতাশা নয়-বাকি ২২ জেলে পরিবারের ভাষ্যও এক।
তারা বলছেন, ‘বিষয়টি নিয়ে একাধিকবার প্রশাসনের দ্বারস্থ হয়েছেন। সুন্দরবন, মংলায় খোঁজাখুঁজি ছাড়াও ভারতেও খোঁজ নেয়া হয়েছে। কিন্তু কোনো কিছুতেই তাদের সন্ধান পাওয়া যায়নি।’
সংশ্লিষ্টদের তথ্যানুযায়ী, ঘূর্ণিঝড় মিধিলির পর থেকে নিখোঁজ হয় উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের কাউখালী গ্রামের বাসিন্দা হাসান জোমাদ্দারের ট্রলারের জিসান, তামিম, কামরুলসহ আটজন জেলে, মৌডুবী ইউনিয়নের কাজিকান্দা দিদার মৃধার ট্রলারের আটজন জেলে এবং একই এলাকার হিমু হাওলাদারের মালিকানাধীন ট্রলারের ৯ জন জেলে।
উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের কোড়ালিয়া মৎস্য সমিতির সভাপতি জহির উদ্দিন হাওলাদার বলেন, ‘জেলেদের নিখোঁজের বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনী এবং স্থানীয় প্রশাসনকে অবহিত করেছি। সুন্দরবন, মংলা এবং ভারতের বর্ডারেও ট্রলার নিয়ে খোঁজাখুঁজি করেছি। কিন্তু কোথাও তাদের কোনো সন্ধান পাইনি আমরা।’
এ ব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, ‘নিখোঁজদের বিষয়ে আমরা এখনও কোনো তথ্য পাইনি। তাদের সন্ধানে আমাদের তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। কোস্টগার্ড বিষয়টি অবগত রয়েছে।