পটুয়াখালী প্রতিনিধি : পটুয়াখালীর দুমকি উপজেলায় প্রতিবেশীর ধর্ষণের শিকার হয়ে অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়েছে ১২ বছরের এক শিশু। ইতোমধ্যে ধর্ষণের অভিযোগে গ্রেপ্তার হয়েছেন দুলাল খন্দকার, তার স্ত্রীও স্বীকার করেছেন স্বামীর অপকর্মের কথা।
ধর্ষণের শিকার হয়ে আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা শিশুটিকে পটুয়াখালী মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেছে পুলিশ। সেখানে করা হয়েছে নানা পরীক্ষা- নিরীক্ষা।
ভুক্তভোগী ওই শিশু স্থানীয় একটি স্কুলে সপ্তম শ্রেণিতে পড়ছেন। তার ভবিষ্যৎ নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়েছে বাবা ও স্বজনরা। সামনের কঠিন সময়ের কথা ভেবে এক রকম বাকরুদ্ধ তারা।
আগে থেকেই কঠিন পরিস্থিতি মধ্যে বড় হতে হচ্ছিলো শিশুটিকে। আড়াই বছর বয়সে সংসার ছেড়ে চলে যায় তার মা। তখন থেকে তাকে লালন পালন করে আসছেন দাদি।
আর পেশাগত কারণে দিনের বেশিরভাগ সময় বাইরে থাকে বাবা। সেই সুযোগে শিশুটিকে ভয় দেখিয়ে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে তিন সন্তানের জনক প্রতিবেশী দুলাল খন্দকার।
ভুক্তভোগী শিশু ও দাদির সঙ্গে কথা বলেন জানা গেছে, গত ১৭ মার্চ শিশুটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। এরপরই ধর্ষণ ও অন্তঃসত্ত্বার খবর জানাজানি হয়।
এরপর মামলা তার বাবা বাদী হয়ে ধর্ষণের মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে কারাগারে রয়েছেন দুলাল খন্দকার।
অভিযুক্ত দুলালের স্ত্রীও স্বীকার করেছেন তার স্বামীর অপরাধের কথা।
তবে বিষয়টি পারিবারিক ভাবে মীমাংসার চেষ্টা করেছিলেন স্থানীয় এক ইউপি সদস্য। যদিও এখন তা অস্বীকার করছেন তিনি।
এ ঘটনায় ক্ষোভে ফুঁসছে আত্মীয় স্বজন ও স্থানীয়রা। এমন বর্বরতার জন্য তারা আপোস- মীমাংসার বদলে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেছেন।