পটুয়াখালী প্রতিনিধি :
তরমুজের নগরী খ্যাত পটুয়াখালী জেলার রাঙ্গাবালীর রাঙা তরমুজের কদর দেশের সব জায়গাতেই। তাই, প্রতিদিন ক্ষেত থেকেই বিক্রি হয়ে যাচ্ছে এখানকার ‘রাঙা তরমুজ’ টকটকে লাল ও অত্যন্ত সুস্বাদু হওয়ায় এখানকার তরমুজের সুনাম দেশেজুড়ে।
রাঙ্গাবালীর এক তরমুজ মাঠে সরেজমিনে দেখা যায়, মাঠ ভরা শুধু তরমুজ আর তরমুজ। মাঠের পর মাঠজুড়ে তরমুজ ক্ষেত। দেখতে পাওয়া যায়, কৃষকরা ক্ষেত থেকে তরমুজ তুলে স্তূপ করে রাখছেন ক্ষেতের বা পার্শ্ববর্তী সড়কের পাশে। বিভিন্ন জেলা থেকে পাইকাররা এসে ভিড় করছেন সেখানে। তারা তরমুজ কিনছেন। সেই তরমুজ তারা লঞ্চ, ট্রলার, ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যানে করে পাঠিয়ে দিচ্ছেন দেশের বিভিন্ন জেলায় কিংবা রাজধানী শহর ঢাকায়। রাঙ্গাবালীতে তরমুজকে ঘিরে চলছে বিশাল এক কর্মযজ্ঞ।
রবি মৌসুমের এ ফসলটির চাহিদা দেশের সর্বত্র। তরমুজ চাষ লাভজনক হওয়ায় চাষিদের মধ্যে আগ্রহও বেড়েছে। পটুয়াখালীর এ উপজেলায় প্রতি বছরই বাড়ছে তরমুজ চাষ। এবার ফলন কম হলেও দাম ভালো পাওয়ায় পরিপক্ব হওয়ার আগেই বাজারে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে তরমুজ।
চাষি শহিদুল ইসলাম বলেন, বাজারে তরমুজের চাহিদা ও দাম ভালো পাওয়ায় ছোট তরমুজ বাজারজাত করছেন চাষিরা। এতে ফলন কিছুটা কমে যাচ্ছে এবং বাজারে তরমুজের দামও কমছে।
তরমুজ চাষি ইব্রাহিম হাওলাদার বলেন, প্রথম দিকে তরমুজের দাম খুবই ভালো ছিল।
এ বছর তরমুজের দাম ভালো। তবে ফলন ভালো হয়নি। যে কারণে তরমুজ চাষিদের আশানুরূপ লাভ হবে না।
তিনি আরো বলেন, কৃষি বিভাগের সঠিক পরামর্শ পেলে রাঙ্গাবালীতে তরমুজের উৎপাদন বাড়ানো সম্ভব।
আড়ৎদাররা বলেন, রাঙ্গা তরমুজের সুনাম রয়েছে সারা দেশে। কিন্তু বেশি দামের আশায় প্রধান মৌসুমের আগেই বাজারে উঠে আসছে অপরিপক্ব তরমুজ।
উপজেলার উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা জুয়েল বলেন, তরমুজ পরিপক্ব হওয়ার আগেই কিছু অসাধু ব্যবসায়ী তরমুজ বাজারজাত শুরু করেছেন।
কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর, রাঙ্গাবালী কার্যালয় সূত্র জানায়, এবার উপজেলায় ৫৬ হাজার হেক্টর জমিতে তরমুজের আবাদ হয়েছে।