শিরোনাম

বাউফলে পুরোনো মরিচা পড়া লোহা দিয়ে ব্রিজ নির্মাণের অভিযোগ

Views: 89

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :

চন্দ্রপাড়া খালের ওপর ব্রিজের কাজ করা হচ্ছে পুরোনো মরিচা পড়া মালামাল দিয়ে।

পটুয়াখালীর বাউফলে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় ৬২ লাখ ৩৭ হাজার ৯৫০ টাকা ব্যয়ে একটি আয়রন ব্রিজের নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে পুরোনো ও মরিচা পড়া মালামাল দিয়ে।
নতুন মালামাল দিয়ে ওই ব্রিজের নির্মাণ কাজ করা কথা থাকলেও তা না করে পুরোনো মরিচা পড়া লোহার পিলার ও ভীমে রং দিয়ে তা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

এর ফলে নির্মাণাধীন এই ব্রিজের স্থায়ীত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এলাকাবাসী। উপজেলার নাজিরপুর ইউনিয়নের সুলতানাবাদ- চন্দ্রপাড়া সড়কে চন্দ্রপাড়া খালের ওপর এ আয়রন ব্রিজ নির্মাণ কাজ করা হচ্ছে।

এলজিইডি সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণাঞ্চলে আয়রন ব্রিজ পুনঃনির্মাণ প্রকল্পের আওতায় চন্দ্রপাড়া খালের ওপর ২৭ মিটার দৈর্ঘ্য ও ৩.৭ মিটার প্রস্থের একটি ব্রিজ নির্মাণ করা হচ্ছে। এতে ব্যয় ধরা হয় ৬২ লাখ ৩৭ হাজার ৯৫০ টাকা। পটুয়াখালীর মেসার্স রোজা অ্যান্ড সাওম এন্টারপ্রাইজ এ নির্মাণ কাজ করছে। ২০২৪ সালের ২৫ জানুয়ারি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানকে কার্যাদেশ দেয়া হলেও কাজ শুরু হয়েছে ৭-৮ দিন আগে।

আরো পড়ুন :দুমকিতে কোটি টাকা হাতিয়ে নেয়া এক প্রতারক গ্রেপ্তার

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ৬-৭ জন শ্রমিক সেখানে ব্রিজের কাজ করছেন। তারা পুরোনো মরিচা পড়া লোহার পিলার কোনও ধরনের যন্ত্রপাতির সাহায্য ছাড়াই নৌকার ওপর ভর করে কাদা-মাটিতে পুতছেন।

এদিকে নিয়ম অনুযায়ী কাজ না করায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। অভিযোগ রয়েছে, এ ব্রিজের নির্মাণ কাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত স্থানীয়দের যাতায়তের জন্য বিকল্প একটি কাঠের সেতু নির্মাণ করতে ৪৩ হাজার ৮১৩ টাকা বরাদ্দ দেওয়া হলেও দায়সারা ভাবে একটি সেতু নির্মাণ করা হয়েছে। তাও আবার নড়েবড়ে। যা দিয়ে ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছেন পথচারীরা।

সুলতানাবাদ গ্রামের বাসিন্দা মো. তরিকুল ইসলাম বলেন, ব্রিজ নির্মাণের নামে সরকারি বরাদ্দ লুটপাট চলছে। বরাদ্দের টাকা আত্মসাৎ করতে পুরোনো মরিচা পড়া লোহার পিলার, ভীম ও এঙ্গেল ব্যবহার করা হচ্ছে।

এ বিষয়ে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান রোজা অ্যান্ড সাওম এন্টারপ্রাইজের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে সাব-ঠিকাদার অরবিন্দু দাস বলেন, কাজ ঠিকমতো হচ্ছে। কোনো অনিয়ম হচ্ছে না।

নির্মাণ কাজের তদারকি কর্মকর্তা উপ-সহকারী প্রকৌশলী এবিএম হুমায়ন কবির বলেন, নতুন পোস্ট পাওয়া যায় না বিধায় পুরোনো পোস্ট ব্যবহার করা হচ্ছে। তবে বাকি সব নতুন।
অবশ্য ভীমসহ অন্য অন্য মালামালও পুরোনো ও রং করা বলে প্রশ্ন করা হলেও তিনি বিষয়টি এড়িয়ে যান।

এ বিষয়ে উপজলো প্রকৌশলী মো. মানিক হোসেন বলেন, বিষয়টি আমার জানা নেই। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরো পড়ুন : কলাপাড়ায় উচ্ছেদ আতঙ্কে ভূমিহীন ১৩৬ পরিবার : পায়রাবন্দরের সড়ক নির্মাণ শুরু
image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *