শিরোনাম

স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় যুবক কারাগারে

Views: 76

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জে দশম শ্রেণীর এক ছাত্রীকে (১৫) তুলে নিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা হয়েছে। পুলিশ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে আব্দুর রহমান আমির (২৯) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছেন ।

ভুক্তভোগী ওই স্কুল ছাত্রী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

আরো পড়ুন : সূর্যমুখী চাষে সফলতার মুখ দেখছেন উপকূলের হাজারও কৃষক

মামলার এজাহার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ওই ছাত্রী উপজেলা সদরের একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের দশম শ্রেণীতে পড়ে। ৭ বছর আগে তার মা ও বাবার সাথে বিবাহ বিচ্ছেদ ঘটে। তার বাবা দ্বিতীয় বিবাহ করে মাধবখালী ইউনিয়নের চৈতা বাজারে ভাড়া বাসায় এবং মা আমড়াগাছিয়া ইউনিয়নের বটতলা এলাকায় বসবাস করে। ভুক্তভোগী ওই ছাত্রী মায়ের সঙ্গে থেকেই লেখাপড়া করে। স্কুল বন্ধ থাকায় সে চৈতা বাজারে বাবার বাসায় বেড়াতে যায়। ঘটনার দিন ২২ মার্চ সকাল সাড়ে ১১ টায় সৎ মায়ের সঙ্গে রাগারাগি করে সুবিদখালী যাওয়ার জন্য রওয়ানা দেয়। চৈতা বাস কাউন্টারে আসলে অভিযুক্ত আব্দুর রহমান আমির প্রথমে তাকে কোথায় যাবে জিজ্ঞাসা করে আলাপচারিতা শুরু করে। আলাপচারিতার এক পর্যায় ভুক্তভোগী ওই ছাত্রীকে হোটেলের রিসিপশনে চাকুরি দেয়ার কথা বলে মোটরসাইকেলে করে কুয়াকাটা নিয়ে গিয়ে অজ্ঞাত একটি হোটেল কক্ষে আটকে রেখে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের চিত্র অভিযুক্ত তার মোবাইল ফোনে ধারণও করে রাখে। কুয়াকাটা হোটেলে দুইদিন আটকে রাখার পর গত ২৫ মার্চ ভুক্তভোগীকে নিয়ে এসে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে রেখে চলে যায়।

এ ঘটনায় স্কুল ছাত্রীর বড় বোন বাদী হয়ে আব্দুর রহমান আমিরের বিরুদ্ধে গত বুধবার (২৬ মার্চ) দুপুরে মির্জাগঞ্জ থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করলে, অভিযান চালিয়ে মির্জাগঞ্জ থানা পুলিশ অভিযুক্তকে আটক করে।

আরো পড়ুন : ডাকাতিসহ ১২ মামলার পরোয়ানাভুক্ত আসামি গ্রেপ্তার

মির্জাগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা হাফিজুর রহমান বলেন, ভুক্তভোগী ওই স্কুল ছাত্রীর বোনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে অভিযুক্ত আব্দুর রহমান আমিরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু দমন নির্যাতন আইনে একটি মামলা রুজু হয়েছে এবং আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *