১. অতিরিক্ত চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার
অতিরিক্ত চিনি এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খেলে তা মাথার ত্বকে অণুজীবের ভারসাম্য নষ্ট করতে পারে। পরিশোধিত শর্করা এবং প্রক্রিয়াজাত কার্বোহাইড্রেট সমৃদ্ধ খাবার ম্যালাসেজিয়া বৃদ্ধিতে সাহায্য করে, যা খুশকি বাড়িয়ে দেয়। এটি মোকাবিলা করার জন্য চিনিযুক্ত স্ন্যাকস, কোমল পানীয় এবং প্রক্রিয়াজাত খাবার খাওয়া কমিয়ে দিন। এসবের পরিবর্তে দানা শস্য, ফল এবং শাকসবজি বেছে নিন।
২. জিঙ্ক এবং বি ভিটামিনের ঘাটতি
জিঙ্ক এবং বি ভিটামিন, বিশেষ করে বি৬ (পাইরিডক্সিন), বি৭ (বায়োটিন) এবং বি১২ স্বাস্থ্যকর ত্বক এবং মাথার ত্বকের কার্যকারিতার জন্য অপরিহার্য। এই পুষ্টির ঘাটতি ত্বকের ফাংশন ব্যাহত করতে পারে এবং খুশকির লক্ষণগুলোকে বাড়িয়ে তুলতে পারে। আপনার ডায়েটে জিঙ্ক-সমৃদ্ধ খাবার যেমন গরুর মাংস এবং কুমড়ার বীজ, সেইসঙ্গে বি ভিটামিনের উৎস যেমন গোটা শস্য, ডিম এবং শাক-সবজি রাখুন।
৩. অপর্যাপ্ত হাইড্রেশন
অপর্যাপ্ত হাইড্রেশন ত্বকের ফাংশনকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে এবং শুষ্কতাকে বাড়িয়ে তুলতে পারে, যার ফলে মাথার ত্বকে জ্বালা ভাব হতে পারে। সর্বোত্তম হাইড্রেশন স্তর বজায় রাখতে এবং মাথার ত্বক সহ সামগ্রিক ত্বকের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সারা দিন পর্যাপ্ত পানি পান নিশ্চিত করুন।
৪. পর্যাপ্ত ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড না খাওয়া
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড মাথার ত্বক সহ ত্বকের স্বাস্থ্য বজায় রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার যেমন চর্বিযুক্ত মাছ, ফ্ল্যাক্সসিড এবং আখরোট ইত্যাদি পর্যাপ্ত না খেলে মাথার ত্বকের শুষ্কতা এবং ফ্ল্যাকিনেস হতে পারে, যা খুশকিকে বাড়িয়ে তোলে। আপনার ডায়েটে ওমেগা-৩ সমৃদ্ধ খাবার যোগ করুন। যা খুশকির সমস্যা সমাধানে কাজ করবে।