তবে বুধবার (১০ এপ্রিল) ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োহাভ গ্যালান্ট এবং পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসরায়েল কাতজ হুমকি দিয়েছেন, যদি ইরান থেকে ইসরায়েলে সরাসরি কোনো হামলা হয় তাহলে তারাও পূর্ণ শক্তি দিয়ে ইরানে হামলা চালাবেন।
আজ বুধবার ইরানে পালিত হয়েছে ঈদুল ফিতর। ঈদের ভাষণে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি হুমকি দিয়ে বলেন, ইরানের কনস্যুলেটে হামলার জন্য ইসরায়েলকে অবশ্যই শাস্তি ভোগ করতে হবে। এরপরই দখলদার ইসরায়েলের দুই মন্ত্রী পাল্টা হুমকি দিয়েছেন।
খামেনি তার বক্তব্যে বলেছেন, “কনস্যুলেটে হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল ইরানের ভূখণ্ডে হামলা করেছে।”
দখলদার ইসরায়েলের চালানো সেই হামলায় সাতজন নিহত হন। যারমধ্যে দুজন জেনারেলও ছিলেন।
ইসরায়েলের উত্তরাঞ্চলে বুধবার আয়রন ডোম প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা দেখতে চান প্রতিরক্ষামন্ত্রী গ্যালান্ট। সেখানে তিনি হুমকির সুরে বলেন, “ইসরায়েলে যেখান থেকে হামলা চালানো হবে সেখানে পূর্ণশক্তি দিয়ে পাল্টা হামলা চালানো হবে। সেটি মধ্যপ্রাচ্যের যে স্থানেই হোক।”
অবৈধ দখলদার ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী আরও বলেছেন, “আমাদের এই সক্ষমতা আছে। আমাদের প্রতিক্রিয়া হবে খুবই কার্যকরী, খুবই শক্তিশালী। গত কয়েক বছরে আমরা যে শক্তি সঞ্চার করেছি শত্রুরা জানে না আমরা তাদের জন্য কি চমক প্রস্তুত করেছি।”
এর আগে ইসরায়েলের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক্রো ব্লগিং সাইট এক্সে লেখেন, “যদি ইরান তাদের ভূখণ্ড থেকে হামলা চালায়। ইসরায়েল প্রতিক্রিয়া দেখাবে এবং ইরানে হামলা চালাবে।”
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল