যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাবশালী সংবাদমাধ্যম ব্লুমবার্গ স্থানীয় সময় বুধবার (১০ এপ্রিল) এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে। সূত্রগুলো সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছে, “সম্ভাব্য হামলায় খুব সম্ভবত ব্যবহার করা হবে উচ্চ নির্ভুলতা সম্পন্ন ক্ষেপণাস্ত্র। হামলাটি আগামী কয়েক দিনের মধ্যে হবে।”
তবে ইরান যেন হামলা চালিয়ে ইসরায়েলের খুব বেশি ক্ষতি করতে না পারে সেজন্য ইসরায়েলকে গোয়েন্দা তথ্য দিয়ে সহায়তা করছে যুক্তরাষ্ট্র। এছাড়া ইসরায়েলিদের হামলা মোকাবিলায় পরিকল্পনা সাজাতেও সহায়তা করছে মার্কিনিরা।
গত ১ এপ্রিল সিরিয়ায় অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে হামলা চালায় দখলদার ইসরায়েল। ওই হামলায় সাতজন নিহত হন। যার মধ্যে দুই ইরানি জেনারেলও ছিলেন।
ওই হামলার পর থেকেই ইসরায়েলে সরাসরি হামলার হুমকি দিয়ে আসছে পরমাণু শক্তিসমৃদ্ধ দেশ ইরান।
গতকাল বুধবার পবিত্র ঈদুল ফিতরের ভাষণে ইরানের সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বলেন কনস্যুলেটে হামলা চালিয়ে ইসরায়েল গুরুতর অপরাধ করেছে এবং এই অপরাধের জন্য তাদের অবশ্যই শাস্তি পেতে হবে।
মধ্যপ্রাচ্যবিষয়ক যেসব পর্যবেক্ষক রয়েছেন তারা এখন অপেক্ষায় রয়েছেন এটি দেখার জন্য, ইরান ইসরায়েলের বিরুদ্ধে বড় ধরনের যুদ্ধ শুরু করবে কি না এবং ইরান হামলা চালানোর পর ইসরায়েল পাল্টা হামলা চালাবে কি না।
খামেনির হুমকির পর ইসরায়েলের পক্ষ থেকে পাল্টা হুমকি দেওয়া হয়েছে। ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী জানিয়েছেন, যদি ইরান থেকে সরাসরি ইসরায়েলে কোনো হামলা হয় তাহলে তারাও ইরানের মাটিতে হামলা চালাবেন।
সূত্র: ব্লুমবার্গ