গত ১ এপ্রিল সিরিয়ার দামেস্কে অবস্থিত ইরানের কনস্যুলেটে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ইসরায়েল। ওই হামলায় দুই ইরানি জেনারেলসহ সাতজন প্রাণ হারান।
কনস্যুলেটে হামলা ও জেনারেলদের হত্যার পরপরই পাল্টা হামলা চালানোর প্রস্তুতি শুরু করে ইরান। এরপর থেকেই ইরানের হামলা ঠেকাতে উচ্চ সতর্কাবস্থায় রয়েছে ইসরায়েল।
মার্কিন এক কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যম ওয়ালস্ট্রিট জার্নালকে বলেছেন, আমাদের গোয়েন্দা সূত্র বলছে ইরানের হামলা কয়েকদিনের মধ্যে হবে। খুব সম্ভবত সরাসরি ইসরায়েলের মাটিতে।
তিনি আরও বলেছেন, হামলা ২৪ থেকে ৪৮ ঘন্টার মধ্যে হতে পারে এবং ইসরায়েল দক্ষিণাঞ্চল এবং উত্তরাঞ্চলে সম্ভাব্য হামলার প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তবে ওয়ালস্ট্রিট জার্নালকে ইরানের একটি সূত্র জানিয়েছে, তারা এখনো হামলার সময়সীমা নির্ধারণ করেননি এবং এ ব্যাপারে এখনো আনুষ্ঠানিক সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।
ওয়ালস্ট্রিট জানিয়েছে, ইরানের ইসলামিক বিপ্লবী গার্ডের এক উপদেষ্টা জানিয়েছেন, এ সপ্তাহের শুরুতে প্রধান ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আল খামেনির কাছে তারা হামলার একটি পরিকল্পনা পাঠান। এতে একাধিক অপশন রাখা হয়েছে। যার মধ্যে সরাসরি ইসরায়েলে হামলার বিষয়টিও রয়েছে।
তবে খামেনি এখন এ ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত দেননি। বিশেষ করে ইসরায়েলে সরাসরি হামলার বিষয়টি নিয়ে তিনি ভাবছেন। তিনি শঙ্কা করছেন, যদি ইসরায়েলে তারা সরাসরি হামলা করেন তাহলে ইসরায়েলও ইরানের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ অবকাঠামো লক্ষ্য করে পাল্টা হামলা চালাতে পারে।
ইরানের সম্ভাব্য হামলা নিয়ে গতকাল যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষামন্ত্রী লয়েড অস্টিনের সঙ্গে কথা বলেছেন ইসরায়েলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োহাভ গ্যালান্ট। ওই সময় অস্টিন গ্যালান্টকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন, ইরান হামলা চালালে তাদের যুক্তরাষ্ট্র সহায়তা করবে।
যুক্তরাষ্ট্রের আরেকটি সূত্র জানিয়েছে, ইরান ইসরায়েলে এমন হামলা চালাবে যেটির মাধ্যমে উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়বে না।
সূত্র: ওয়ালস্ট্রিট জার্নাল