শিরোনাম

অনুমোদনহীন বৈশাখী মেলায় ঘোড় দৌড়ে জুয়ার আসর, সংঘর্ষ, আহত ৫

Views: 46

বরিশাল অফিস :: ঝালকাঠির রাজাপুর উপজেলার নৈকাঠিতে প্রশাসনের অনুমোদনহীন বৈশাখী মেলায় ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যেখানে একাধিক জুয়ার আসরে কয়েক লাখ টাকা লেনদেন হয়েছে। মেলা উপলক্ষে আয়োজিত দর্শনার্থীদের মধ্যে কিশোর গ্যাংয়ের মধ্যে গ্রুপিং নিয়ে সংঘর্ষ হয়েছে।

সংঘর্ষে রাজাপুর সরকারী ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী সোহান ও তার সহোদর শোয়েবসহ অন্তত ৮ জন আহত হয়েছে। উপজেলার নৈকাঠি এলাকায় ধানের মাঠে আয়োজিত ৩দিন ব্যাপী মেলার বৃহস্পতিবার বিকেল ৬টার দিকে শুরু হওয়া প্রথম দিনেই এ দুর্ঘটনা ঘটে।

আহত সোহানের অবস্থা গুরুতর হওয়ায় রাজাপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিলে কর্তব্যরত চিকিৎসক উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল শের-ই বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয়ে (শেবাচিম) হাসপাতালে প্রেরণ করে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, রাজাপুর উপজেলার নৈকাঠি চৌমাথা (বাজার) সংলগ্ন ধানের মাঠে ৩ দিনব্যাপী মেলার আয়োজন করে স্থানীয়রা। এ নিয়ে বেশ কয়েকদিন ধরে জোরালো প্রচারণাও করা হয়। বিকেল ৪টা থেকেই মেলার স্থলে বিভিন্ন এলাকা থেকে দর্শনার্থীরা ভীড় করতে থাকে।

এ সময় উঠতি বয়সী কিশোরদের উপস্থিতি বেশিই বাড়তে থাকে। মেলা উপলক্ষ্যে অদূরেই দুটি জুয়ার আসর বসে। এক দিনেই কয়েকলাখ টাকা লেনদেন হয় এ জুয়ার আসরে। সন্ধ্যা ৬টার দিকে শুরু হয় ঘোড়ার দৌড় প্রতিযোগিতা। প্রথম রাউন্ড দৌড় শেষেই কিশোরগ্যাংদের মধ্যে গ্রুপিং নিয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়।

একপর্যায়ে খোলা মাঠে বিক্ষিপ্তভাবে সংঘর্ষ শুরু হলে মোল্লারহাট এলাকার দোকানদার দুলালের পুত্র সোহান নাকে-মুখে রক্তাক্ত অবস্থায় দাঁড়িয়ে বলে আমার কানে কামড় দিয়ে নিয়ে গেছে। পাশেই এসে শুয়ে পড়ে আহতাবস্থায় আরো কয়েক কিশোর বয়সী ছেলে।

মেলার আয়োজক কমিটি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিবেশ শান্ত করে। আহতদের মধ্যে সোহানের ছোট ভাই শোয়েবও ছিলো। দর্শনার্থী ঘনিষ্ঠজনরা সোহানকে উদ্ধার করে রাজাপুর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

রাজাপুর থানার ওসি আতাউর রহমান জানান, ঘোড় দৌড় প্রতিযোগিতা তো অনেক জায়গায়ই চলে। তবে বৈশাখী মেলা কোথাও চলে না। তাহলে জেলা প্রশাসন থেকে অনুমোদন নিতে হবে। যদি কোথাও জুয়ার আসর বসে তার সুনির্দিষ্ট তথ্যানুসন্ধান করে ব্যবস্থা নেয়া হবে। কিশোরগ্যাং সংঘর্ষের ঘটনায় অভিযোগ দিলে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়ার কথাও জানান তিনি।

রাজাপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফারহানা ইয়াসমিন জানান, কোথাও বৈশাখী মেলা আয়োজনের তথ্য আমার কাছে নেই। জেলা প্রশাসন থেকে যদি অনুমতি নিতো তাহলে আমার নলেজে থাকতো। অবৈধ কোন মেলার আয়োজন হলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *