শিরোনাম

লবনাক্ত জমিতে কোলেস্টেরল মুক্ত তৈলের হাতছানি দিচ্ছে হাইব্রিড সূর্যমুখী

Views: 55

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় ভোজ্য তেলের ঘাটতি পূরনের জন্য সূর্যমুখী হাইসান ৩৩ ফসলের মাঠ পরিদর্শন, ফসল কর্তন ও মাঠ দিবস পালন উপলক্ষে কৃষি মন্ত্রনালয়ের যুগ্ম সচিব ও মহাপরিচালক (বীজ) বীজ অনুবিভাগ মো. আবু জোবায়ের হোসেন বাবলু বলেন, লবনাক্ত জমিতে ফসল উৎপাদন কোন বাধা হতে পারেনা যদি লবন ক্ষয়িষ্ণু বীজ রোপন করা যায়৷ দক্ষিণাঞ্চলে এ মৌসুমে ৩৫ হেক্টর জমি অনাবাদি থাকে। এ অনাবাদি জমি আবাদিতে রুপান্তর করতে স্বপ্ন দেখাচ্ছে ব্রাক সিড। ব্রাকের উৎপাদিত সূর্যমুখী হাইসান ৩৩ এ অঞ্চলের কৃষকের মুখে হাসি ফুটাচ্ছে। আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে এনে নিজেদের উৎপাদিত তেল নিজেরা ব্যবহার করাই এখন আমাদের মূল লক্ষ।

শুক্রবার (২৬এপ্রিল) বিকেলে ব্র্যাক সিড অ্যাড অ্যাগ্রো এন্টারপ্রাইজের আয়োজনে মোয়াজ্জেমপুরে সূর্যমুখী হাইসান ৩৩ ফসলের সূর্যমুখী উৎপাদন পরবর্তী প্রক্রিয়াজাতকরন উদ্যোগ, এডাপটেশন ক্লিনিক পরিদর্শন, সূর্যমুখী মাঠ পরিদর্শন, ফসল কর্তন ও মাঠ দিবসটি অনুষ্ঠিত হয়।

আরো পড়ুন : আধুনিকতার ছোঁয়ায় বিশ্ববাজারে পটুয়াখালীর মৃৎ শিল্প

উক্ত অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, বিএডিসির সদস্য পরিচালক ( বীজ ও উদ্যান) মো. মুস্তাফিজুর রহমান, জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ পরিচালক ও বিএডিসি মোহাম্মদ নজরুল ইসলাম, ব্র্যাক এন্টারপ্রাইজের ঊধ্বর্তন কর্মকর্তা মোহাম্মদ আনিসুর রহমান, বরিশাল কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক মো. শওকত ওসমান, বরিশাল এসিআই সীড বিজনেস ডাইরেক্ট সুধীর চন্দ্র নাথ, এ্যডভান্টা সীড ইন্টারন্যাশনাল কান্ট্রি ম্যানেজার ডঃ এবিএম জিয়াউর রহমান,কলাপাড়া উপজেলা কৃষি অফিসার মো. আরাফাত হোসাইনসহ প্রমূখ।

উপজেলার তথ্যমতে, এ উপজেলার প্রায় ১হাজার ৯৫০হেক্টর জমিতে সূর্যমূখী আবাদ হয়েছে। সে হিসাবে প্রায় ১৩৬৫ মেট্রিকটন তেল উৎপাদন হবে। প্রতি কেজি ৩’শত টাকা করে মূল্য নির্ধারণ করলে সেক্ষেত্রে ৪০ কোটি ৯৫ লক্ষ টাকার তেল কৃষকরা বিক্রি করবে।

লতিফপুরের স্থানীয় কৃষক মো. নুর ইসলাম আকন বলেন, এবারি প্রথম ২.৫ বিঘা জমিতে হাইব্রিড হাইসান ৩৩ এর বীজ রোপন করলাম। ভালো ফলন হয়েছে। আশা করি ২০ থেকেন ২২ মন বীজ পাব। বীজ থেকে যে তৈল পাব তা দিয়ে আমার সংসারের পুরো বছরে আর তৈল ক্রয় করতে হবে না।

আরো পড়ুন : পটুয়াখালীতে পথচারীদের পানির বোতল ও স্যালাইন দিচ্ছেন রেড ক্রিসেন্ট

মো. নেওয়ামুর নাসির বলেন, ব্রাকের অর্থায়নে আমাদের পতিত জমিতে লবন ক্ষয়িষ্ণু হাইব্রিড হাইসান ৩৩ বিজ দিয়েছি। আমাদের জমি সারা বছরে একবার ফসল উৎপাদন করতে পারি কিন্তু এবারেই প্রথম ব্রাকের সহায়তায় আমি ১০ বিঘা জমিতে হাইব্রিড হাইসান ৩৩ চাষ করে প্রায় ৫০ মনের বেশি বীজ পাব। যা বিক্রি করে আর্থিক ভাবে লাভবান হতে পারব।

বিশেষ অতিথি বিএডিসির সদস্য পরিচালক ( বীজ ও উদ্যান) মো. মুস্তাফিজুর রহমান বলেন, বিজটি এই অঞ্চলের জন্য আর্শীবাদ। লবনের সাথে যুদ্ধ করে বেড়ে উঠে। আমাদের আর যেন তেল আমদানি না করা লাগে। সেই লক্ষে সূর্যমুখীর চাষ বেড়ে গেছে। আমাদের খাদ্য ও পুষ্টি যোগান দিবে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *