বরিশাল অফিস :: অসহ্য তাপদাহে অতিষ্ঠ নগরবাসীর মধ্যে কিছুটা শান্তি এনে দিয়েছে নগরীর বিনোদন কেন্দ্রগুলো। সারাদেশের ন্যায় বরিশালেও তাপদাহের সাথে বেড়েছে লোডশেডিং।
তাইতো গরম থেকে বাঁচতে সারাদিনই পরিবার নিয়ে নগরীর ৩০ গোডাউন, মুক্তিযোদ্ধা পার্ক, ডিসি লেকের পাড় সহ বিভিন্ন নদী ও জলাশয় সংলগ্ন স্থান গুলোতে নগরবাসিকে অবস্থান করতে দেখা গেছে। ট্রলার ও নৌকা নিয়ে নদীতে বেড়াতে যেতে দেখা গেছে পরিবার ও প্রিয়জনসমেত নগরীর বাসিন্দাদের। আলাপে তারা জানিয়েছে, ঘরে-বাইরে কোথাও স্বস্বি মিলছে না প্রচন্ড গরমে।
তাই নদীতে ঘুরে নির্মল হাওয়ায় কিছুটা শান্তির খোঁজে এসেছেন। গতকাল শুক্রবার সাপ্তাহিক ছুটির দিনটিতে এই চাপ ছিলো নগরীর প্রতিটি নদী সংলগ্ন বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে। অন্যদিকে বিনোদন কেন্দ্রের লোক বাড়ায় গরমের মধ্যেও বেশ ফুরফুরে মেজাজে ছিলেন সেখানকার জীবিকা নির্বাহের তাগিদে থাকা পথ খাবারের দোকানদার ও পানি বিক্রেতারা। তারা জানিয়েছেন গরম বাড়ায় বেড়েছে মানুষের চাপ। ট্রলারে ঘুরতে যাওয়া লোকজনের সংখ্যাই বেশি।
পরিবার নিয়ে শুক্রবার বেলা ৩টার দিকে ডিসি লেকের পাড়ে অবসরযাপন করতে আসা ফেরদৌস ওয়াহিদ জানান, প্রচন্ড গরমে ঘরে থাকা দায়। ছুটির দিনে লোডশেডিং এ গরম বাড়িয়েছে কয়েক গুন। সন্তানদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় ওদের নিয়ে বেড়াতে এসেছেন ডিসি লেকের পাড়ে। এই জায়গার পরিবেশ বেশ শীতল। এখানে থাকা শতবর্ষি দুই বৃক্ষের ছায়ায় বেশ স্বস্তিতে সময় কাটে। এরপর বিকেল হলে যাবেন ৩০ গোডাউনে।
৩০ গোডাউন এলাকা থেকে ট্রলারে ভ্রমণে যাওয়া গৃহিনী রোজিনা আক্তার জানান, সপ্তাহে ছুটির দিনে সর্বদাই বেড়াতে আসেন তারা। আজ প্রচন্ড গরম তাই একটু নির্মল পরিবেশ উপভোগ করতে পরিবার নিয়ে ট্রলারে ঘুরতে যাচ্ছেন।
৩০ গোডাউন এলাকার ট্রলার চালক ইউনুস মিয়া জানান, গরম বাড়ার পর থেকে ৩০ গোডাউন নদীর পাড়ে গোসল ও ট্রলারে বেড়াতে আসা লোকজনের সংখ্যা বেড়েছে কয়েকগুন। কেউ কেউ ঘন্টা হিসেবে কেউবা আবার সারাদিনব্যাপী ট্রলার রিজার্ভ করে পরিবার নিয়ে নদীতে ঘুরতে যাচ্ছেন।
গরম যতদিন থাকবে এমন চাপ অব্যাহত থাকবে বলে মনে করেন ৩০ গোডাউনের অস্থায়ী ফলের রস ও লেবুর শরবত বিক্রেতা রানা। তিনি বলেন, প্রচন্ড গরমে মানুষ প্রচুর পরিমানে পানি জাতীয় খাবার খাচ্ছে। বেচা-কেনা বেশ ভালো।