শিরোনাম

দুমকী উপজেলায় মুগডালের বাম্পার ফলন

Views: 33

বরিশাল অফিস :: চলতি মৌসুমে আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় মুগডালের বাম্পার ফলন হলেও পটুয়াখালীর দুমকী উপজেলার কৃষকদের মাঝে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও শ্রমিক সংকটের আশংকা দেখা দিয়েছে।

রাজাখালী গ্রামের কৃষক মোঃ হারুন অর রশিদ খান বলেন, ফসলের মাঠ দেখে আনন্দিত হলেও সঠিক সময়ে ডাল ঘরে তুলতে না পারলে ক্ষেতেই ঝরে যাবে। তবে ডাল তোলার মেশিন হলে মাঠ থেকে আরও বেশি ডাল সংগ্রহ করা সম্ভব। একদিকে শ্রমিক সংকট অপরদিকে প্রচন্ড রোদের তাপ।

বৃহস্পতিবার সরেজমিনে ঘুরে দেখা যায়, ইতিমধ্যে উপজেলার কিছু কিছু গ্রামে মুগডাল পাকতে শুরু করেছে। বিশেষ করে উঁচু জমিতে পড়ন্ত বিকেলের নরম রোদে দক্ষিণা বাতাসে কিছু কিছু মাঠে পাকা মুগ ডাল সংগ্রহে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা।

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর চলতি মৌসুমে মুগডাল চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিলো ৩ হাজার ৮৫০ হেক্টর এবং কৃষকদের মাঝে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে।

স্থানীয় কয়েকজন কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, অল্প সময়ে সামান্য পুঁজিতে অধিক লাভের আশায় উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর থেকে বিনামূল্যে উচ্চ ফলনশীল জাতের বারি-৬ জাতের মুগ ডালের বীজ পেয়ে চাষাবাদ করেছেন তারা। অনেক কৃষক নিজস্ব সংরক্ষিত দেশীয় জাতের মুগ ডাল চাষ করেছেন। মুরাদিয়া ইউনিয়নের কৃষক মাইনুল ইসলাম বলেন, ৬০ শতাংশ জমিতে সারি পদ্ধতিতে বারি- ৬ জাতের মুগ আবাদ করে ইতিমধ্যে ২০শতাংশ জমি থেকে দেড় শতাধিক কেজি ডাল তুলেছি। এছাড়াও ওই এলাকায় কালাম মৃধা, সোহরাব মৃধা, মন্নান ও কেরামত আলী লাইন চুইং পদ্ধতিতে মুগ চাষের ফলে বেশ ভালো ফলন পেয়েছেন।

শহিদুল ইসলাম নামে এক কৃষক জানান, এবছর অতিরিক্ত তাপমাত্রার কারণে তার ফলন ভালো হয়নি। বিশেষ করে পোকার আক্রমণ থেকে রক্ষার জন্য কীটনাশক ব্যবহারে সুফল পায়নি সে। এছাড়াও আগাছায় মুগ ডাল গাছের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে।
জানতে চাইলে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মোঃ ইমরান হোসেন বলেন,পটুয়াখালী জেলায় সবচেয়ে বেশি মুগডাল চাষ হয় এ উপজেলায়। আমার অফিসের সার্বিক পরামর্শ ও নিয়মিত তদারকিতে এখানকার কৃষকরা আধুনিক পদ্ধতিতে মুগডাল চাষে ব্যাপক আগ্রহী হয়ে উঠেছে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *