শিরোনাম

বরিশাল নগরে সড়ক দখল করে দোকান

Views: 58

বরিশাল অফিস :: বরিশাল নগরের সরু সড়কগুলোতে দু’পাশের ফুটপাত দখল করে স্থাপিত হয়েছে অস্থায়ী দোকান। এতে সড়কগুলো আরও সরু হয়ে গেছে। এ ছাড়া গভীর রাতে চুরি হয়ে যাচ্ছে ড্রেনের ঢাকনা। এ দুই সমস্যায় ফুটপাত দিয়ে পথচারীদের চলা ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। কোনো কোনো এলাকার ভুক্তভোগীরা সিটি করপোরেশনে (বিসিসি) অভিযোগ দিয়েও প্রতিকার পাচ্ছেন না।

কয়েকটি সড়ক ঘুরে দেখা গেছে, অস্থায়ী অনেক দোকানঘর তোলা হয়েছে। জানা গেছে, ক্ষমতাসীন দলের স্থানীয় নেতাদের ছত্রছায়ায় দোকান গড়া হয়েছে। এগুলো থেকে ভাড়াও নিচ্ছেন তারা। নগরীর সিঅ্যান্ডবি রোড থেকে কাজীপাড়া সড়কে প্রবেশের সময় দেখা গেছে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলীর দপ্তর পর্যন্ত দুই পাশে টিন দিয়ে তৈরি অসংখ্য দোকান। সেগুলো ভাড়া দিচ্ছে স্থানীয় ছাত্রলীগ নামধারীরা।

একই চিত্র দেখা গেছে শের-ই-বাংলা চিকিৎসা মহাবিদ্যালয় হাসপাতালের বিপরীতে ত্রিশ গোডাউনে প্রবেশ সড়ক, বঙ্গবন্ধু উদ্যান সংলগ্ন কেডিসি সড়ক, মুন্সি গ্যারেজ থেকে গোরস্তান রোড, নিউ সার্কুলার রোডের মোড়সহ বিভিন্ন এলাকায়। কোথাও টিনশেড আবার কোথাও টংঘর তোলা হয়েছে। এতে বিঘ্ন হচ্ছে যানবহন চলাচল।

কাজীপাড়ার বাসিন্দা আবু সাঈদ খান বলেন, তাদের সড়কটি দীর্ঘদিন ধরে বেহাল। তার ওপর দুই পাশ দখল করে স্থাপনা গড়ে ওঠায় চলাচল ব্যাহত হচ্ছে। এ বিষয়ে এলাকাবাসী স্থানীয় কাউন্সিলর এবং মেয়রের কাছে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন।
২২ নম্বর ওয়ার্ডের দায়িত্বপ্রাপ্ত কাউন্সিলর রেশমী বেগম বলেন, কাজীপাড়া সড়কটি অবৈধ দখলের বিষয় তিনি জানেন না। কারা দখলদার কিংবা ভাড়া নিচ্ছে তাও জানা নেই। তিনি এ বিষয়ে খোঁজ নিয়ে পদক্ষেপ নেবেন।

এদিকে নগরের বিভিন্ন এলাকায় সড়কের পাশে থাকা ফুটপাতে ড্রেনের ঢাকনা রাতের আঁধারে উধাও হয়ে যাচ্ছে। প্রায় এক মাস আগে এ উপদ্রব শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে। এতে ঝুঁকিতে পড়ছেন পথচারীরা। সাম্প্রতিক সময়ে বগুড়া রোড, সদর রোড ও হাসপাতাল রোডের বিএম কলেজ এলাকায় লোহার ঢাকনা চুরির ঘটনায় জড়িত কয়েকজনকে হাতেনাতে ধরে পুলিশে দিয়েছেন বিসিসির পরিচ্ছন্নকর্মীরা। এর পরও থেমে নেই চুরির ঘটনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক পরিচ্ছন্ন বিভাগের এক কর্মকর্তা বলেন, প্রতিদিনই কোনো না কোনো সড়কে ড্রেনে লোহার ঢাকনা চুরির খবর আসছে।

বিসিসির জনসংযোগ কর্মকর্তা আহসান উদ্দিন রুমেল বলেন, কিছু কিছু সড়কে অবৈধ দোকানপাট গড়ে উঠেছে। খুব শিগগির সড়ক প্রশস্তকরণ ও সংস্কার কাজ শুরু হবে। এর আগে এগুলো উচ্ছেদের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হবে। তবে কিছু সড়ক নগরের মধ্যে হলেও অন্য সরকারি দপ্তরের। সেগুলোর জটিলতা নিরসনে সম্মিলিত উদ্যোগ নিতে হবে। সড়কের ড্রেনের ঢাকনা চুরির বিষয়টি কর্তৃপক্ষের নজরদারিতে রয়েছে। বিসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইসরাইল হোসেন সাংবাদিকদের বলেন, ইতোমধ্যে চোর আটক ও মামলা হয়েছে। সরকারি সম্পদ চুরির ঘটনা রোধ বা সম্পদ রক্ষায় কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হবে। এ বিষয়ে পুলিশের সহায়তা চাওয়া হয়েছে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *