বরিশাল অফিস : আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দুমকি উপজেলায় এবার তরুণ ভোটারের সংখ্যা ৬০ শতাংশ। যারা নির্বাচনে জয়-পরাজয়ে মূখ্য ভূমিকা পালন করবে। এই তারণ্যকে প্রাধান্য দিয়েই নতুন নতুন প্রকল্পের মাধ্যমে কর্মসংস্থান সৃষ্টির মধ্য দিয়ে স্মার্ট, উন্নত ও মানবিক দুমকি বিনির্মানের লক্ষ্যে নির্বাচনী মাঠে নেমেছেন চেয়ারম্যান পদ-প্রার্থী এডভোকেট মেহেদী হাসান মিজান।
গতকাল বিকেলে লেবুখালীর পাগলার মোড় সংলগ্ন পায়রা পয়েন্টে এডভোকেট মেহেদী হাসান মিজানের প্রধান নির্বাচনী অফিসের উদ্বোধন ও মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বক্তারা এ কথা বলেন।
এ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান মিজানের সভাপতিত্বে দুমকি উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি মোঃ সুলতান আহমেদ মোল্লা, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রলীগের সভাপতি মোঃ ইব্রাহীম ফরাজী, মুরাদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক মোঃ হারুন চাকলাদার প্রমূখ এ সময় বক্তব্য রাখেন।
হাজার হাজার কর্মী সমর্থকদের মুর্হমুহু শ্লোগানে মুখরিত হয়ে ওঠে পরিবেশ।
দুমকি উপজেলার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী ও তরুণ উদ্যোক্তা নিউ ভিশন গ্রুপের এমডি মো. তরিকুল ইসলাম মনির বলেন, মেহেদী হাসান মিজানকে চিনি স্টুডেন্ট লাইফ থেকে। সে একজন সৎ এবং যোগ্য নেতৃত্ব। জনগণের উন্নয়ন ও সেবা দেওয়ার জন্যই সে নির্বাচনে এসেছে। সে নির্বাচিত হলে কর্মসংস্থানের মাধ্যমে তরুনদের বেকারত্ব দূরীকরণে কাজ করবে। এ লক্ষে ইতিমধ্যে আমরা এখানে একটি ইন্ডাস্ট্রি করেছি এ ছাড়াও প্রতিটা ইউনিয়নে ফ্রি স্বাস্থ্য সেবা সহ আরো কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছি। সে নির্বাচিত হলে দুমকির আমুল পরিবর্তন হবে।
তরিকুল ইসলাম মনির বলেন, স্মার্ট, উন্নত ও মানবিক, এই তিনটি ধারণাকে সামনে রেখে অচিরেই আমরা একটি কর্ম পরিকল্পনা বা ইশতেহার জনগণের সামনে উপস্থাপনা করব। এসময় তিনি সাময়িক বিষয় নিয়ে প্রলুদ্ধ না হয়ে একজন যোগ্য নেতৃত্বকে নির্বাচিত করতে তরুনদের প্রতি আহবান জানান। যিনি তরুনদের ভাষা বোঝেন। তরুনদের জন্য কাজ করবেন।
তরিকুল ইসলাম মনির প্রতিশ্রুতি দিয়ে বলেন, পদ্মা সেতু হওয়ার পরপরই এখানে পায়রাপোর্ট ও বিদ্যুৎ কেন্দ্র সহ কুয়াকাটা ট্যুরিজম কেন্দ্রিক আমাদের যে জনশক্তি দরকার হবে তা তৈরিতে এবং শিক্ষিত ছেলেমেয়েদের এই বিষয়ে দক্ষ হিসেবে গড়ে তুলতে প্রশিক্ষণসহ প্রয়োজনীয় উদ্যোগ আমরা নেবো।
তিনি বলেন, মেহেদী হাসান মিজানের স্বপ্ন দুমকির যত বেকার ছেলেরা আছে, যারা পড়ালেখা করছে, তাদের ভবিষ্যৎ যাতে তারা গড়তে পারে সেই বিষয়ে সার্বিক সহযোগিতা করা। বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান দুমকিতে এনে কর্মসংস্থান বৃদ্ধি করা। পাশাপাশি দুমকির রাস্তাঘাটসহ আধুনিক ও উন্নত সড়ক নেটওয়ার্ক তৈরি। এক্ষেত্রে তিনি পায়রা পয়েন্ট স্থাপনের মাধ্যমে পাগলার দৃশ্যমান উন্নয়নের উদাহরণ দেন ।
চেয়ারম্যান প্রার্থী এ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান মিজান বলেন, উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হলে দুমকিকে একটি মডেল ও স্মার্ট উপজেলা হিসেবে গড়ে তোলা হবে। খেটে খাওয়া মানুষদের জন্য কর্মসংস্থান এবং বেকার সমস্যা নিরসনে কাজ করাই হবে আমার মূল লক্ষ্য এবং উদ্দেশ্য। তরুণ উদ্যোক্তা হিসাবে তরুণ প্রজন্মের জন্য কাজ করতে চাই বিশেষ করে ঝরে পড়া শিক্ষিত বেকারদের জন্য কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে চাই। ইতোমধ্যেই আমি দুমকীতে ২টি শিল্প প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। একটি অটো ব্রিকস করেছি যেখানে তিন থেকে সাড়ে তিন শত মানুষের কর্মসংস্থান হয়েছে। নির্বাচিত হলে আরো বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান তৈরি করে বেকার সমস্যা নিরসনে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন সাবেক কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ছাত্রনেতা, পায়রা সিরামিক ইন্ডাজট্রিজ লিঃ এর চেয়ারম্যান ও পায়রা শপিং পয়েন্ট কমপ্লেক্সের ম্যানেজিং পার্টনার বিশিষ্ট ব্যবসায়ী এবং গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আলোড়ন সৃষ্টিকারী এ্যাডভোকেট মেহেদী হাসান মিজান।
এসময় তিনি “সৎ শিক্ষিত তরুণ প্রার্থীকে নির্বাচিত করুন” এ শ্লোগানে সকলের কাছে ভোট প্রার্থনা করেন।
মিজানুর রহমান নামের এক বক্তা বলেন, বিগত ১৫ বছর দুমকি উপজেলা নির্বাচন দেখেছি। বিগত দিনে যারা নির্বাচিত হয়েছেন তাদের কর্ম আমরা বাস্তবে দেখেছি। আমরা এখন সৎ শিক্ষিত তরুণ প্রার্থীকেই নির্বাচিত করতে চাই। মেহেদী মিজানের এখানে নেওয়ার মতো কিছু নেই। তিনি এসেছেন দিতে। মেহেদী মিজান এই দুমকি উপজেলাকে একটি মাদক মুক্ত ও সন্ত্রাস মুক্ত উপজেলা হিসেবে নির্মাণ করার যে উন্নয়ন কর্মকান্ড হাতে নিয়েছেন সে লক্ষ্যে তিনি তার সর্মর্থন ব্যক্ত করে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।