পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর গলাচিপায় ১০ বছরের শিশু সানিয়াকে প্রথমে ধর্ষণ ও পরে তার লাশ গলায় ওড়না দিয়ে ঘরের আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় বুধবার গলাচিপা থানায় মামলা দায়ের করা হলে পুলিশ মেহেদী হাসান (২২) নামের এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে।
এছাড়া পুলিশের উদ্যোগে ওই শিশুর লাশ ময়নাতদন্ত করা ছাড়াও ধর্ষণের আলামত জব্দ করা হয়েছে। নির্মম এ ঘটনা ঘটেছে উপজেলার রতনদী-তালতলী ইউনিয়নের পাতাবুনিয়া গ্রামে।
মামলার অভিযোগে বলা হয়েছে, সোমবার (৬ মে) সকালে সানিয়া, তার মা সাহিদা বেগম (৩৫) ও ছোট বোন সারামনির (৫) সঙ্গে সকালে বাড়ির কাছের বিলে মরিচ তুলতে যায়। সকাল নয়টার দিকে সানিয়া ভাত খাওয়ার জন্য বাড়িতে যায়।
এর ঘন্টাখানেক পরে সাহিদা বেগম বাড়ি ফিরে তার মেয়ে সানিয়াকে বসতঘরের মাঝখানের কক্ষের আড়ার সঙ্গে ওড়না দিয়ে ঝুলন্ত লাশ দেখতে পায়। সাহিদা বেগমের ডাকচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসে এবং লাশ নামায়। ওইদিনই পুলিশ সানিয়ার লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়।
আরো পড়ুন : দুমকী নির্বাচনে অবৈধ ক্যাম্প ভেঙে দিলেন ইউএনও
মামলায় আরো উল্লেখ করা হয়, ঘটনার পর পরই একই বাড়ির আবুল কালাম বিশ্বাসের ছেলে মেহেদী হাসানকে বসতঘরের পিছন দিয়ে জমির দিকে হেটে যেতে দেখা গেছে।
সানিয়ার মা সাহিদা বেগম ও বাবা মো. মফিজুল বিশ্বাস অভিযোগ করেন, মেহেদী হাসান তার মেয়েকে ঘরের মধ্যে একা পেয়ে ধর্ষণ শেষে হত্যা করে লাশের গলায় ওড়না পেচিয়ে আড়ার সঙ্গে ঝুলিয়ে রাখে।
এ ঘটনায় মফিজুল বিশ্বাস তার মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যার ঘটনায় হাসানসহ অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে গলাচিপা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছেন।
গলাচিপা থানা অফিসার ইনচার্জ মো. ফেরদৌস আলম খান জানান, সানিয়ার বাবার অভিযোগের ভিত্তিতে বুধবার হত্যা মামলা রেকর্ড করা হয়েছে। একই বাড়ির হাসান (২২) নামে এক যুবককে আটক করে মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।