চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : কৃষকের সেচে যেন সমস্যা না হয় সেজন্য গ্রামের বদলে বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর আবাসস্থল গুলশান বনানীর মতো অভিজাত এলাকায় লোডশেডিং দিতে বলেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এছাড়াও মুদ্রাস্ফীতি কমাতে সকল অনাবাদী জমিতে চাষ করার আহ্বান জানিয়েছেন সরকার প্রধান।
প্রধনামন্ত্রী বৃহস্পতিবার (৯ মে) সন্ধ্যায় দ্বাদশ জাতীয় সংসদে চলমান দ্বিতীয় অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্যে এ কথা বলেন।
অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী।
সরকার প্রধানা বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদনে বিশেষ আইন নিয়ে সমালোচনা কেন? পৃথিবীতে এমন কোনো দেশ নেই, যারা ক্যাপাসিটি পেমেন্ট ছাড়া বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করেছে। কিন্তু প্রতিদিন এটা নিয়ে চিল্লাচিল্লি শুনি। ওই আইনে কাউকে দায়মুক্তি দেয়া হয়নি। ’
সামিটের বিলম্ব বিদ্যুৎ উৎপাদনের জন্য জরিমানা আদায় হয়েছে বলেও জানান সংসদ নেতা।
তিনি বলেন, ‘বিশেষ আইন নিয়ে যারা কথা বলছেন, সমালোচনা করছেন তারা অর্বাচীন। ’
রূপপুর পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে সমালোচনা হয় জানিয়ে শেখ হাসিনা বলেন, অথচ সেটাই সবচেয়ে ক্লিন বিদ্যুতের সোর্স। রূপপুরে আরও একটি পরমাণু বিদ্যুৎ কেন্দ্র নির্মাণ করা হবে।
গুলশান-বনানীতে লোডশেডিং দেওয়ার নির্দেশ দিয়ে আওয়ামী লীগের সভাপতি বলেন, ‘বিদ্যুৎ উৎপাদন বহুমুখী করছে সরকার। হ্যাঁ, গেল কিছুদিন তীব্র গরমে কিছুটা লোডশেডিং হয়েছে। আমরা তা স্বীকার করি। আমি নির্দেশ দিয়েছি লোডশেডিং গ্রামে নয়, এখন থেকে বিদ্যুৎ সংকটে লোডশেডিং হবে গুলশান-বনানীতে। বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রীর বাসভবন এলাকায়ও লোডশেডিংয়ের নির্দেশ দিয়েছি। ’