চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক : ফিলিস্তিনের গাজার রাফার পূর্বাঞ্চলে বিরামহীন গোলাবর্ষণ করেছে ইসরায়েল। আরও বড় ধরনের হামলা চালাতে সীমান্তে বিপুলসংখ্যক ট্যাংকসহ যুদ্ধসরঞ্জাম ও সেনা জড়ো করছে দেশটি। এদিকে জাতিসংঘ জানিয়েছে, ইসরায়েলি বাহিনীর হামলার মুখে মরিয়া হয়ে রাফা ছেড়েছেন ৮০ হাজার ফিলিস্তিনি। খবর বিবিসির
গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন জানিয়েছে, ইসরায়েলি সেনারা রাফার পূর্বাঞ্চলকে আক্রমণ করেছে। এতে রাফার পূর্বাঞ্চলের কিছু এলাকা পুরোপুরি জনশূন্য হয়ে পড়েছে।
এদিকে জাতিসংঘ সতর্ক করে বলেছে, গাজায় পানি এবং খাবার ফুরিয়ে এসেছে। কারণ, রাফা ক্রসিংয়ের নিয়ন্ত্রণ নেওয়ার পর গাজায় ত্রাণ সামগ্রী প্রবেশ বন্ধ হয়ে গেছে।
এ ছাড়া টানা চতুর্থ দিনের মতো গতকালও বন্ধ ছিল গাজার ইসরায়েল সীমান্তবর্তী কারেম সালেম ক্রসিং। সেখানে জর্ডানের পাঠানো ত্রাণবহর আটকে দিয়েছে ইসরায়েলি বিক্ষোভকারীরা। রাফা ও কারেম সালেম ক্রসিং বন্ধ হয়ে যাওয়ায় গাজায় বাইরে থেকে সব ধরনের ত্রাণ সরবরাহ বন্ধ হয়ে গেছে।
ফিলিস্তিনি শরণার্থীবিষয়ক জাতিসংঘের সংস্থা ইউএনআরডব্লিউএর যোগাযোগ কর্মকর্তা লুইস ওয়াটারিজ বলেন, গত ২৪ ঘণ্টায় রাফায় ব্যাপক বোমা হামলা চালিয়েছে ইসরায়েলি বাহিনী, যা ওই এলাকায় গত দুই সপ্তাহে চালানো হামলার সমান।
এদিকে গাজায় সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় ইসরায়েলি বাহিনীর হামলায় কমপক্ষে ৬০ ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বৃহস্পতিবার এ কথা জানিয়েছে। এ নিয়ে গত ৭ অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের হামলায় ৩৪ হাজার ৯০৪ জন নিহত হয়েছেন। নিহত ফিলিস্তিনিদের ৭০ শতাংশই শিশু ও নারী।
রাফার পূর্বাঞ্চল থেকে বাসিন্দাদের সরে যেতে গত সোমবার নির্দেশ দেয় ইসরায়েলি বাহিনী। ওই দিন রাতেই সেখানে ঢুকে পড়ে ইসরায়েলি ট্যাংক। পরদিন মিসর সীমান্তবর্তী রাফা ক্রসিং দখলে নেয় ইসরায়েলি বাহিনী। এতে বাকি বিশ্ব থেকে কার্যত বিচ্ছিন্ন হয়ে যায় অবরুদ্ধ গাজা।