শিরোনাম

টিনশেড ঘরেই পাঠদান, রোদ-বৃষ্টিতে বরিশালে ভোগান্তিতে শিক্ষার্থীরা

Views: 37

বরিশাল অফিস :: বরিশাল জেলার বাকেরগঞ্জ উপজেলার নিয়ামতি ইউনিয়নের পূর্ব মহেশপুর গ্রামে ১৯৭৮ সালে স্থানীয় শিক্ষা অনুরাগী মাওলানা মতিউর রহমান খান প্রতিষ্ঠিত করেন পূর্ব মহেশপুর হাছানিয়া ফাজিল (ডিগ্রি) মাদ্রাসা। মাদ্রাসাটি ১৯৮১ সালে এমপিওভুক্ত করা হয়। মাদ্রাসাটির দোচালা টিনশেড ঘরে তখন থেকে অদ্যাবধি চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। গত ১০ বছর ধরে জরাজীর্ণ হয়ে পড়েছে টিনশেড ঘরটি। রোদ-বৃষ্টিতে ভোগান্তিতে এখানকার শিক্ষার্থীরা। বৃষ্টি হলেই পানি পড়ে ভিজে যায় শ্রেণিকক্ষসহ শিক্ষার্থীরা এবং তাদের বই-খাতা।

অষ্টম ও নবম শ্রেণির শিক্ষার্থী সনিয়া আক্তার ও রুবি জানায়, প্রচণ্ড সূর্যের তাপে টিনের চালা গরম হয়। শ্রেণিকক্ষে বসে ক্লাস করতে গিয়ে প্রায় সময় গরমে অসুস্থ হয়ে পড়েন অনেক শিক্ষার্থী। আবার বৃষ্টি হলেই টিনের চালা দিয়ে পানি পড়ে ভিজে যায় বই-খাতা। তখন শ্রেণিকক্ষের মধ্যে বসে থাকাও অনেক কষ্টকর হয়ে পড়ে।দ্রুত মাদ্রাসার জন্য একটি পাকা ভবন চান তারা।

সরেজমিন দেখা যায়, মাদ্রাসায় প্রথম শ্রেণি থেকে ডিগ্রি পর্যন্ত তিন শতাধিক শিক্ষার্থী থাকলেও প্রতিদিন প্রায় দুই থেকে ২৫০ জন শিক্ষার্থী উপস্থিত থাকে। প্রতি বছর দাখিল ও আলিম পরীক্ষায় অংশ নেয় অন্তত ১০০ শিক্ষার্থী। আর প্রতি বছর নতুন করে ভর্তি হয় এক থেকে ১৫০ মতো শিক্ষার্থী। এসব শিক্ষার্থীরা বছরের পর বছর চরম দুর্ভোগ নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানে লেখাপড়া করছে।

শিক্ষকদের অভিযোগ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার প্রায় ৪৬ বছর পেরিয়ে গেলেও সেই জরাজীর্ণ টিনশেড ঘরেই এখন পর্যন্ত চলছে শিক্ষা কার্যক্রম। প্রখর রোদে ক্লাস করতে গিয়ে অনেকে শিক্ষার্থী অসুস্থ হয়ে পড়ছে। বৃষ্টি আসলে জামা, কাপড় ও বই খাতা ভিজে যায়, পাঠদানে ব্যাহত হয়। দুর্ভোগ পোহাতে হয় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের। দ্রুত নতুন ভবন নির্মাণ জরুরি।

মাদরাসার অধ্যক্ষ মাওলানা আবু হানিফা বলেন, মাদ্রাসার দোচালা ঘরটি জরাজীর্ণ হয়ে পড়ায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের নিয়ে চরম দুর্ভোগে রয়েছি। এতে করে ব্যাহত হচ্ছে শিক্ষার্থীদের পাঠদানে। নতুন ভবন নির্মাণের জন্য বারবার সংশ্লিষ্ট দফতরে আবেদন করেছি এখন পর্যন্ত কোনো কাজ হয়নি। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা কার্যক্রম আরও বেগবান করতে শিগগিরই একটি পাকা ভবন নির্মাণের জোর দাবি জানাচ্ছি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের কাছে।

এ ব্যাপারে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা তপন কুমার দাস বলেন, উপজেলার অধিকাংশ মাদ্রাসায় কার্যক্রম পাকা ভবন চলছে। এ মাদ্রাসাও ভবনের জন্য অপেক্ষমাণ তালিকায় অন্তর্ভুক্ত আছে। আশা করছি, সংশ্লিষ্ট দফতর থেকে শিগগিরই নতুন একটি পাকা ভবন পাস হবে।

 

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *