শিরোনাম

ফাস্টিং ব্লাড সুগার পরীক্ষার সময় যেসব বিষয় খেয়াল রাখবেন

Views: 39

চন্দ্রদ্বীপ ডেক্স: ডায়াবেটিস রোগীদের নিয়মিত রক্তে শর্করা পরীক্ষা করা দরকার। আর এই পরীক্ষা দুই ধরনের হয়, একটি হলো ফাস্টিং ব্লাড সুগার টেস্ট এবং অন্যটি পোস্টপ্রান্ডিয়াল ব্লাড সুগার টেস্ট।

ফাস্টিং ব্লাড সুগার সকালে খালি পেটে পরীক্ষা করা হয়। রক্তে শর্করার পরীক্ষার মূল উদ্দেশ্য হলো প্রাক-ডায়াবেটিস, টাইপ ১ ডায়াবেটিস এবং টাইপ ২ ডায়াবেটিসে রক্তে শর্করার মাত্রা শনাক্ত করা। অনেক সময় ফাস্টিং ব্লাড সুগারের পরিমাণ (ফাস্টিং ব্লাড সুগার টেস্ট) বেশি থাকে। সকালে খালি পেটে রক্ত পরীক্ষা করে এর অবস্থা জানা থাকলে ওষুধ ও খাবার দিয়ে ব্লাড সুগার নিয়ন্ত্রণ করা যায়।

যদি আপনি একটি ফাস্টিং রক্তের শর্করা পরীক্ষা করছেন, রাতে দুধ পান করবেন না। দুধে পেপটিন নামক একটি উপাদান থাকে যা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

একইভাবে আপনি যদি ফাস্টিং সুগার টেস্ট করছেন, হাঁটা এড়িয়ে চলুন। হাঁটা এবং ব্যায়াম ডায়াবেটিস রোগীদের জন্য খুবই উপকারী। এটি ইনসুলিন সংবেদনশীলতা বাড়াতে সাহায্য করে এবং রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। এগুলো মেনে চললেই ফাস্টিং ব্লাগ সুগার পরীক্ষার রিপোর্ট সঠিক আসবে ও সঠিক পদ্ধতিতে চিকিৎসা সম্ভব।

প্রায়শই লোকেরা ১২-১৪ ঘণ্টা কিছু না খেয়ে তারপরে সকালে রক্তে শর্করার পরীক্ষা করার দিকে মনোনিবেশ করে। এই পদ্ধতিতে তারা মনে করেন যে তাদের সুগার টেস্টের রিপোর্ট সঠিক আসবে। কিন্তু ফাস্টিং সুগার টেস্টে তখনই সঠিক রিপোর্ট আসে যখন রোগী রাতের ডায়েটে মনোযোগ দেন এবং সকালে কিছু বিষয়ে খেয়াল রাখেন।

কেউ যদি ফাস্টিং সুগার চেক করেন, তাহলে তার সকালে পানিও পান করা উচিত নয়। ফাস্ট সুগার মানে ৮-১০ ঘণ্টা কিছু না খাওয়ার পরে রক্তের অবস্থা সম্পর্কে তথ্য নেওয়া। ফাস্টিং ব্লাড সুগার পরীক্ষা করার সময় মনে রাখতে হবে সকালে ঘুম থেকে ওঠার এক থেকে দেড় ঘণ্টার মধ্যে পরীক্ষাটি করতে হবে। যদি দুপুর ১২টায় একটি ফাস্টিং সুগার টেস্ট করা হয় তবে কখনই সঠিক ফলাফল পাওয়া যাবে না। এরজন্য সকালের ঘুম থেকে ওঠার ঘণ্টা খানেকের মধ্যেই এই পরীক্ষা করানো অত্যন্ত জরুরি।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *