বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ আসর ও ম্যাচ খেলার রেকর্ড
এখন পর্যন্ত হওয়া সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের সব আসরে খেলা ক্রিকেটার আছেন দুজন। সাবেক টাইগার অধিনায়ক সাকিব ও ভারতীয় অধিনায়ক রোহিত শর্মা। ২ জুন থেকে যুক্তরাষ্ট্র ও ওয়েস্ট ইন্ডিজের মাটিতে শুরু হবে বিশ্বকাপ। এ নিয়ে রেকর্ড সর্বোচ্চ নয়টি আসরেই খেলতে যাচ্ছেন সাকিব–রোহিত। ম্যাচ খেলার বিচারে অবশ্য এগিয়ে আছেন রোহিত। বিশ্বকাপে তিনি সর্বাধিক ৩৯ ম্যাচে খেলেছেন। দুইয়ে থাকা সাকিব খেলেছেন ৩৬ ম্যাচ। এরপর আছেন ৩৫ ম্যাচ খেলা তিলেকারত্নে দিলশান। এ ছাড়া ডোয়াইন ব্রাভো, শহীদ আফ্রিদি, শোয়েব মালিক ও ডেভিড ওয়ার্নার সমান ৩৪টি করে ম্যাচ খেলেছেন।
সর্বোচ্চ রানসংগ্রাহক ব্যাটার
সাবেক ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলি (১ হাজার ১৪১) এখন পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত ফরম্যাটের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ রান করেছেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। ওই তালিকায় পরের অবস্থানে আছেন মাহেলা জয়াবর্ধনে, ক্রিস গেইল, রোহিত শর্মা ও দিলশান।
খেলোয়াড় | রান |
বিরাট কোহলি | ১ হাজার ১৪১ |
মাহেলা জয়াবর্ধনে | ১ হাজার ১৬ |
ক্রিস গেইল | ৯৬৫ |
রোহিত শর্মা | ৯৬৩ |
তিলেকারত্নে দিলশান | ৮৯৭ |
সর্বোচ্চ উইকেটশিকারি বোলার
বিশ্বসেরা টাইগার অলরাউন্ডার সাকিব (৪৭) আছেন বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ উইকেটশিকারির তালিকায় শীর্ষে। এবার তার সামনে প্রথম কোনো বোলার হিসেবে উইকেটের ফিফটি করার সুযোগ রয়েছে। তার পরের অবস্থানে থাকা বাকি চার বোলারই ইতোমধ্যে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছেন।
খেলোয়াড় | উইকেট |
সাকিব আল হাসান | ৪৭ |
শহীদ আফ্রিদি | ৩৯ |
লাসিথ মালিঙ্গা | ৩৮ |
সাঈদ আজমল | ৩৬ |
অজন্তা মেন্ডিস, উমর গুল | ৩৫ |
সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত রানের ইনিংস
২০ ওভারের বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংসের তালিকায় সবার ওপরে আছেন নিউজিল্যান্ডের সাবেক অধিনায়ক ব্রেন্ডন ম্যাককালাম। ২০১২ আসরে বাংলাদেশের বিপক্ষে ৫৮ বলে ১২৩ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন তিনি। এরপর আছেন গেইল, অ্যালেক্স হেলস, আহমেদ শেহজাদ ও রাইলি রুশো।
ক্রিকেটার | রান | প্রতিপক্ষ | ম্যাচ |
ব্রেন্ডন ম্যাককালাম | ৫৮ বলে ১২৩ | বাংলাদেশ | ২১ সেপ্টেম্বর, ২০১২ |
ক্রিস গেইল | ৫৭ বলে ১১৭ | দক্ষিণ আফ্রিকা | ১১ সেপ্টেম্বর, ২০০৭ |
অ্যালেক্স হেলস | ৬৪ বলে ১১৬ | শ্রীলঙ্কা | ২৭ মার্চ, ২০১৪ |
আহমেদ শেহজাদ | ৬২ বলে ১১১ | বাংলাদেশ | ৩০ মার্চ, ২০১৪ |
রাইলি রুশো | ৫৬ বলে ১০৯ | বাংলাদেশ | ২৭ অক্টোবর, ২০২২ |
সবচেয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরি
ইউনিভার্স বস–খ্যাত সাবেক ক্যারিবীয় তারকা ক্রিস গেইল বিশ্বকাপে দ্রুততম সেঞ্চুরির প্রথম দুটিতেই নিজের নাম তুলেছেন। ৪৭ ও ৫০ বলে তিনি সেঞ্চুরি করেছিলেন ২০০৭ ও ২০১৬ আসরে। এই তালিকায় আছেন ম্যাককালাম, রুশো ও শেহজাদ।
ক্রিকেটার | বল | প্রতিপক্ষ ও বিশ্বকাপ আসর |
ক্রিস গেইল | ৪৭ | ইংল্যান্ড (২০১৬) |
ক্রিস গেইল | ৫০ | দক্ষিণ আফ্রিকা (২০০৭) |
ব্রেন্ডন ম্যাককালাম | ৫১ | বাংলাদেশ (২০১২) |
রাইলি রুশো | ৫২ | বাংলাদেশ (২০২২) |
আহমেদ শেহজাদ | ৫৮ | বাংলাদেশ (২০১৪) |
সর্বোচ্চ ছক্কার বাউন্ডারি
ছোট সংস্করণের বিশ্বকাপে সর্বাধিক ৬৩ ছক্কার মালিকও ইউনিভার্স বস গেইল। দ্বিতীয় অবস্থানে থাকা রোহিতের সঙ্গে তার ব্যবধানটা অনেক বেশি। রোহিত এই সংস্করণের বৈশ্বিক আসরে ছক্কা হাঁকিয়েছেন ৩৫টি। এ ছাড়া তালিকায় আছেন জস বাটলার, যুবরাজ সিং, শেন ওয়াটসন ও ডেভিড ওয়ার্নার।
ক্রিকেটার | মোট ছক্কা |
ক্রিস গেইল | ৬৩ |
রোহিত শর্মা | ৩৫ |
জস বাটলার, যুবরাজ সিং | ৩৩ |
শেন ওয়াটসন, ডেভিড ওয়ার্নার | ৩১ |
সেরা বোলিং ফিগার
বিশ্বকাপে মাত্র ৮ রানে ৬ উইকেট নিয়ে সেরা বোলিং ফিগারটি দখলে নিয়েছেন শ্রীলঙ্কার রহস্য স্পিনার অজন্তা মেন্ডিস। তার পেছনে আছেন রঙ্গনা হেরাথ, উমর গুল, স্যাম কারান, এহসান মালিক ও অ্যাডাম জাম্পা।
ক্রিকেটার | বোলিং ফিগার | প্রতিপক্ষ ও আসর |
অজন্তা মেন্ডিস | ৮ রানে ৬ উইকেট, ৪ ওভার | জিম্বাবুয়ে (২০১২) |
রঙ্গনা হেরাথ | ৩ রানে ৫ উইকেট, ৩.৩ ওভার | নিউজিল্যান্ড (২০১৪) |
উমর গুল | ৬ রানে ৫ উইকেট, ৩ ওভার | নিউজিল্যান্ড (২০০৯) |
স্যাম কারান | ১০ রানে ৫ উইকেট, ৩.৪ ওভার | আফগানিস্তান (২০২২) |
এহসান মালিক | ১৯ রানে ৫ উইকেট, ৪ ওভার | দক্ষিণ আফ্রিকা (২০১৪) |
অ্যাডাম জাম্পা | ১৯ রানে ৫ উইকেট, ৪ ওভার | বাংলাদেশ (২০২১) |
সর্বোচ্চ ডিসমিশাল (উইকেটরক্ষক)
টি-টোয়েন্টির সর্বোচ্চ আসরে সবচেয়ে বেশি উইকেটে অবদান রাখা ক্রিকেটার সাবেক ভারত অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। গ্লাভস হাতে ২১ ক্যাচের পাশাপাশি ১১ বার স্টাম্পিং করেছেন এই ভারতীয়। তালিকায় আছেন কামরান আকমল, দীনেশ রামদিন, কুমার সাঙ্গাকারা ও কুইন্টন ডি কক।
ক্রিকেটার | মোট ডিসমিশাল | ক্যাচ ও স্ট্যাম্পিং |
মহেন্দ্র সিং ধোনি | ৩২ | ২১, ১১ |
কামরান আকমল | ৩০ | ১২, ১৮ |
দীনেশ রামদিন | ২৭ | ১৮, ৯ |
কুমার সাঙ্গাকারা | ২৬ | ১২, ১৪ |
কুইন্টন ডি কক | ২২ | ১৭, ৫ |
সর্বোচ্চ ক্যাচ (নন-উইকেরক্ষক ফিল্ডার)
উইকেটরক্ষক ছাড়া বিভিন্ন পজিশনের ফিল্ডার হিসেবে সর্বাধিক ২৩টি ক্যাচ নেওয়ার রেকর্ড সাবেক প্রোটিয়া অধিনায়ক এবি ডি ভিলিয়ার্সের দখলে। তালিকায় আছেন ওয়ার্নার, মার্টিন গাপটিল, গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, রোহিত, কেইন উইলিয়ামসন ও ডোয়াইন ব্রাভো।
ক্রিকেটার | মোট ক্যাচ |
এবি ডি ভিলিয়ার্স | ২৩ |
ডেভিড ওয়ার্নার | ২১ |
মার্টিন গাপটিল | ১৯ |
গ্লেন ম্যাক্সওয়েল, রোহিত শর্মা | ১৬ |
কেইন উইলিয়ামসন, ডোয়াইন |