চন্দ্রদীপ ডেস্ক : ‘রানার ছুটেছে তাই ঝুম ঝুম ঘণ্টা বাজছে রাতে। রানার চলেছে খবরের বোঝা হাতে, রানার রানার চলেছে, রানার’- হেমন্ত মুখোপাধ্যায়ের বিখ্যাত গানের সেই রানার আজ নেই। ডাক বিভাগে লেগেছে অধুনিকতার ছোঁয়া। তবে এত কিছুর পরও দিন দিন কমেছে চিঠি।
গত ৫ বছরে ডাক বিভাগের চিঠি কমেছে অর্ধেক। শুধুমাত্র সরকারি কাজে ও অফিসিয়িাল ছাড়া ডাক বিভাগে আর ব্যক্তিগত চিঠি আসে না। যদিও বিভাগের কর্মকর্তাদের দাবি আধুনিকায়নের ফলে এখন কমেছে চিঠি।
এদিকে দিন দিন বাড়ছে বেসরকারি কুরিয়ার সার্ভিসের চাহিদা।
সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস লি. রাজশাহী অঞ্চলের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার আলতাফ হোসেন বলেন, রাজশাহী অঞ্চলে প্রতি মাসে গড়ে ৪০ হাজারেরও বেশি চিঠি আদান প্রদান হয়। মানুষকে সুন্দরভাবে চিঠি পৌঁছে দেওয়ার কারণেই মানুষ আমাদের বেছে নেয়।
রাজশাহী অঞ্চলের অতিরিক্ত পোস্টমাস্টার জেনারেল শেখ সাইফুল আলম বলেন, চিঠির সংখ্যা শুধু রাজশাহীতে বা বাংলাদেশে কমেনি, এটা সারাবিশ্বেই কমেছে। মূলত ডিজিটাল সুবিধার কারণেই চিঠি কমেছে। মানুষ এখন ফেসবুক, ম্যাসেঞ্জার, ইমেইলে তাৎক্ষণিক যোগাযোগ করছে। ফলে ব্যক্তিগত চিঠি নেই বললেই চলে। অফিসিয়িাল চিঠি এখন আসছে। ব্যাংক ও বীমা প্রতিষ্ঠানগুলোর চিঠি অনেক বাড়ছে।
তিনি বলেন, এ সরকারের আমলে ১০১২-১৩ সালে ডাক বিভাগের অ্যাক্ট হয়। এর ফলে ডাক বিভাগের সঙ্গে কুরিয়ারের কম্পিটিশন বাড়ছে। আমাদের আনেক সেবা সম্পর্কে মানুষ জানেও না। ডোমেস্টিক মেইলে আমাদের একটি যুগান্তকারী কাজ হয়েছে। এখন চিঠি কতদূর গেলো সেটি গ্রাহক নিজে ট্র্যাকিং করে দেখতে পারবে। আশা করছি ভালো একটি সময় আসছে।