১. নিয়মিত শরীরচর্চা
ব্যায়াম একটি শক্তিশালী স্ট্রেস রিলিভার। এটি এন্ডোরফিন বৃদ্ধি করে আপনার মেজাজকে উন্নত করে তুলতে পারে, সেইসঙ্গে উদ্বেগ এবং বিষণ্ণতা কমাতেও সাহায্য করে। সপ্তাহের বেশিরভাগ দিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট ব্যায়ামের লক্ষ্য রাখুন।
২. মেডিটেশন
আপনাকে শান্ত এবং ভারসাম্যপূর্ণ অবস্থা অর্জন করতে সাহায্য করবে, যা আপনার মানসিক স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করতে পারে। দিনে কয়েক মিনিট মেডিটেশনে ব্যয় করলে তা স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে কার্যকরী ভূমিকা রাখবে।
৩. পর্যাপ্ত ঘুম
মস্তিষ্কের চাপ থেকে পুনরুদ্ধারের জন্য ঘুম অপরিহার্য। বেশিরভাগ প্রাপ্তবয়স্কদের প্রতি রাতে ৭-৯ ঘণ্টা ঘুম প্রয়োজন। নিয়মিত ঘুমের সময়সূচী বজায় রাখা এবং একটি বিশ্রামের পরিবেশ তৈরি করার মাধ্যমে স্ট্রেস দূর করা সহজ হয়ে উঠবে।
৪. সুষম পুষ্টি
স্বাস্থ্যকর খাবার খেলে তা ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করে এবং রক্তচাপ কমিয়ে দেয়। ফলে স্ট্রেসের প্রভাব মোকাবিলা করা সহজ হয়। আপনার ডায়েটে প্রচুর ফল, শাকসবজি, চর্বিহীন প্রোটিন এবং দানাশস্য যোগ করুন। এতে মন ও শরীর দুটোই সুস্থ থাকবে।
৫. গভীর শ্বাস-প্রশ্বাস
গভীর শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যায়াম আপনার মনকে শান্ত করতে এবং উত্তেজনা কমাতে সাহায্য করবে। ডায়াফ্রাম্যাটিক শ্বাস, পেটের শ্বাস এবং দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাসের মতো কৌশলগুলো আপনাকে তীব্র মানসিক চাপ পরিচালনা করতে সহায়তা করতে পারে।
৬. সামাজিকতা বজায় রাখুন
শক্তিশালী সামাজিক নেটওয়ার্ক একাকীত্ব এবং স্ট্রেস কমায়। পরিবার এবং বন্ধুদের সঙ্গে সময় কাটান, যারা আপনাকে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করতে সাহায্য করবে। নতুন বন্ধুত্ব গড়ে তুলতে আপনার পছন্দ কিংবা মতের সঙ্গে মেলে এমন মানুষ খুঁজে নিন।
৭. টাইম ম্যানেজমেন্ট
কার্যকরী টাইম ম্যানেজমেন্ট স্ট্রেস দূর করার ক্ষেত্রে খুবই প্রয়োজন। এটি বিশ্রাম এবং জীবন উপভোগ করার জন্য সময় বের করে স্ট্রেস কমাতে সাহায্য করবে। কাজকে অগ্রাধিকার দিন, বাউন্ডারি সেট করুন এবং করণীয় কাজগুলো ধাপে ধাপে করুন।