পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: বিয়ের নিমন্ত্রণ না দেওয়াকে কেন্দ্র করে দ্বন্দ্বে প্রতিবেশী দুই পরিবারের মধ্যে সংঘর্ষে নিলিমা সিকারী (৪৫) নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ জুন) বিকেল ৩টার দিকে পটুয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়।
এদিন সকালে জেলার সদর উপজেলার কমলাপুর ইউনিয়নের ধরান্দী গ্রামের আনন্দপাড়া এলাকায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
নিহত নিলিমা ওই এলাকার সুনীল সিকারীর স্ত্রী।
কমলাপুর ইউনিয়ন পরিষদের (ইউপি) সদস্য মো. মনির সিকদার জানান, ৮-১০ দিন আগে নিহত নিলিমা ও তার স্বামী সুনীল নাতনির বিয়ে দেন। এতে নিমন্ত্রণ না পেয়ে, তার কারণ জানতে চান প্রতিবেশী রণজিৎ রায়।
এ নিয়ে তখন দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। এরই জেরে মঙ্গলবার সকালে রায় পরিবারের কয়েকজন সিকারী বাড়িতে এসে হামলা করলে উভয়পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ বেধে যায়।
এ সময় তা থামাতে গেলে রায় পরিবারের লোকজনের লাঠির আঘাতে গুরুতর আহত হন নিলিমা। পরে হাসপাতালে নেওয়া হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন।
আরো পড়ুন : মির্জাগঞ্জে নির্বাচন-পরবর্তী সহিংসতায় অন্তত ২৫ জন আহত, গ্রেপ্তার ৪
নিহতের ছেলে সুমিত সিকারী জানান, বিয়ের দাওয়াতকে কেন্দ্র করে তাদের মধ্যে এর আগে কথা কাটাকাটি হয়েছিল। মঙ্গলবার সকালে আবারও ১০-১২ জন লোক এসে হঠাৎ তাদের পরিবারের ওপর আক্রমণ চালায়। এ সময় তার মা আহত হলে তাকে হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যায়।
তবে এ বিষয়ে রায় পরিবারের রণজিৎ ও জয়দেবের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তাদের পাওয়া যায়নি।
পটুয়াখালী সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জসিম জানান, মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পটুয়াখালী হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। পরিবারের পক্ষ থেকে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের আটকের চেষ্টা চলছে।