এস এল টি তুহিন (বরিশাল): ঘরে ঘরে বাড়ছে জ্বর-সর্দি ও কাশির রোগী আক্রান্ত হয়ে প্রথমে এলাকার ফার্মেসি থেকে ওষুধ কিনে সেবন করলেও অনেকেই তাতে সুস্থ না হয়ে শের-ই-বাংলা মেডিক্যাল ও জেনারেল সদর হাসপাতালের বহির্বিভাগে রোগীরা দীর্ঘ লাইনে দাঁড়িয়ে থেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এতে ভোগান্তির শিকার হচ্ছেন শিশু ও বৃদ্ধরা।
চিকিৎসকরা বলেন, ঠান্ডা লাগা, পেটে সংক্রমণ, ফুসফুসে সংক্রমণ, রক্ত স্বল্পতা হলেও জ্বর হয়। ঋতু পরিবর্তন, ভাইরাল ইনফেকশন বা অন্য বড় রোগের পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় কারো কারো জ্বর হয়।
জানা যায়, বরিশালের প্রতিটি ঘরে গত এক সপ্তাহ থেকে ঠান্ডা জ্বর ও সর্দির প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। আক্রান্তরা জ্বরের পাশাপাশি সর্দি, কাশি, মাথাব্যাথা, গলাব্যাথায় ভুগছেন। বাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা নিলেও এই জ্বর কমপক্ষে ১ সপ্তাহ ভোগাচ্ছে। কেউ কেউ আবার একাধিকবার জ্বরে আক্রান্ত হয়েছে।
হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসা আলম হোসেন বলেন, আমার পার্শ্ববর্তী ফার্মেসি থেকে ওষুধও খেয়েছি কিন্তু জ্বর কমে নায় ঠান্ডা জ্বরে অনেক ভুগছি তাই ডাক্তার দেখাত এখানে আসছি ।
বরিশাল জেনারেল সদর হাসপাতালের আবাসিক সার্জন মলয় কৃষ্ণ বড়াল বলেন, জ্বরে আক্রান্ত হলে আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। প্রতিদিন ঠান্ডা, উপসর্গগুলো নিয়ে অনেকেই আসে ডেঙ্গু হলেও সব জ্বর ডেঙ্গু নয়।
বরিশাল শের-ই-বাংলা মেডিক্যালের পরিচালক ডা. সাইফুল ইসলাম বলেন, মেডিক্যালের বহির্বিভাগে প্রতিদিনই বাড়ছে জ্বরসহ বিভিন্ন উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের ভিড়। জ্বরসহ যে কোনো উপসর্গে প্রথমেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে ওষুধ সেবন করা উচিত ।