বরিশাল অফিস :: পিরোজপুরের নেছারাবাদে ৪০ বছর কেটেছে তবুও কথা রাখেনি জনপ্রতিনিধিরা শিরোনামে চন্দ্রদ্বীপ নিউজে সংবাদ প্রকাশের পরে হালিমা বেগমের বাড়িতে খাদ্য সহায়তা নিয়ে হাজির হন নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামান। দিয়েছেন ঘর তৈরি করে দেওয়ার আশ্বাস।
প্রায় ৪০ বছর যাবৎ এই ঝুপড়ি ঘরে বসবাস করছেন হালিমা বেগম। তার স্বামী একে একে তিনটি বিয়ে করায় সংসার করা হয়নি তার। বৃদ্ধ বয়সে একা থাকেন তিনি। তার সংসারে কোনো পুরুষ সদস্য না থাকায় নিঃসন্তান হালিমা বেগমের জীবনে কষ্টের শেষ নেই। অন্যের বাড়ি পেটে ভাতে কাজ করে সংসার চালান তিনি। যেদিন কাজ করতে পারেন না সেদিন অনাহারে অর্ধাহারে থাকতে হয় তার।
গত শুক্রবার(৭ জুন) চন্দ্রদ্বীপ নিউজে প্রকাশের পর বিষয়টি প্রশাসনের নজরে আসে। এরপর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহেদুর রহমান ওই বৃদ্ধার ঘরের খোঁজখবর নিতে নেছারাবাদ উপজেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দেন।
তাৎক্ষণিক ইউএনও মো. মনিরুজ্জামান ও উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আসাদুজ্জামান ওই বৃদ্ধার বাড়িটি পরিদর্শন করে তার ঘরটি বাসযোগ্য করার উদ্যোগ নেন।
হালিমা বেগম জানান, খাদ্য সহায়তা ও নতুন ঘরের আশ্বাস পেয়ে আমি অনেক খুশি। এখন শীত কিংবা বর্ষাতে আর কষ্ট করতে হবে না। কখনও ভাবিনি আমার থাকার জন্য নতুন করে দেয়া হবে।
নেছারাবাদ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মনিরুজ্জামান চন্দ্রদ্বীপ নিউজকে বলেন, বিষয়টি নিয়ে প্রকাশিত খবরটি জেলা প্রশাসকের নজরে আসলে স্যার ঘরটি পরিদর্শন করে ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশনা দেন। তাকে বসবাসের উপযুক্ত টিনের ঘর করে দেওয়া হবে। এ ছাড়াও হালিমা বেগম যেন সরকারি সব সুযোগ-সুবিধা ঠিকমতো পায় তা নিশ্চিত করা হবে।