বরিশাল অফিস :: জেলার গৌরনদী পৌরসভার উপ-নির্বাচনে নয়টি ওয়ার্ডের ১৪টি কেন্দ্রের সবগুলোকে অধিক ঝুঁকিপূর্ন দাবি করেছেন প্রতিদ্বন্ধী চারজন প্রার্থীর মধ্যে তিনজন প্রার্থী। অতিসম্প্রতি অনুষ্ঠিত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের ন্যায় এবারও অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করার লক্ষ্যে প্রার্থীরা প্রতিটি ভোট কেন্দ্রে বিজিবিসহ পর্যাপ্ত আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন, স্থায়ীভাবে ম্যাজিষ্ট্রেট নিয়োগসহ প্রতিটি কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা স্থাপনের দাবি করেছেন।
ইতোমধ্যে এ দাবি করে জেলার জেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তার মাধ্যমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার বরাবরে লিখিত আবেদন করেছেন নারিকেল গাছ মার্কার মেয়র প্রার্থী আলহাজ্ব
মোঃ আলাউদ্দিন ভূঁইয়া। গত ২০ জুনের ওই আবেদনে আলাউদ্দিন ভূঁইয়া উল্লেখ করেন, নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পর থেকে তিনি নির্বাচন কমিশন ঘোষিত সকল প্রকার নির্বাচনী আইন কানুন ও আচরণ বিধিমালা সঠিকভাবে পালন করে আসছেন। কিন্তু তার প্রতিদ্বন্ধী মোবাইল ফোন মার্কার প্রার্থী এইচএম জয়নাল আবেদীনের সমর্থকরা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার পর থেকে তার (আলাউদ্দিন ভূঁইয়া) কর্মীদের এবং ভোটারদের বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে ভয়ভীতি ও হুমকি প্রদর্শনের পাশাপাশি হামলা চালাচ্ছে। এমনকি সাধারণ ভোটারদের ভোটকেন্দ্রে উপস্থিত না হওয়ার জন্য প্রতিটি ওয়ার্ডে প্রভাব বিস্তার করা হচ্ছে।
ভোটগ্রহণের দিন প্রতিটি ভোট কেন্দ্র দখল করার জন্য হুমকি দেওয়া হচ্ছে। এ অবস্থায় সুষ্ঠু ভোটগ্রহণ হবে কিনা তা নিয়ে সাধারণ ভোটারদের মধ্যে নানা শঙ্কা বিরাজ করছে। তাই পৌরসভার প্রতিটি ভোট কেন্দ্রকে অধিক ঝুঁকিপূর্ণ দাবি করা হচ্ছে। যে কারনে আগামী ২৬ জুন ভোটগ্রহণের দিন সকল ভোটাররা যাতে সুষ্ঠুভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেন, সে জন্য প্রতিটি ভোটকেন্দ্রে পর্যাপ্ত আইন শৃঙ্খলা বাহিনী মোতায়েন এবং সকল কেন্দ্রে সিসিটিভি ক্যামেরা বসানোর জন্য প্রধান নির্বাচন কমিশনের কাছে অনুরোধ করা হয়।
আবেদনের অনুলিপি সরকারি বিভিন্ন দপ্তর প্রধানদের কাছে প্রেরণ করা হয়েছে। শুক্রবার সকালে নারিকেল গাছ মার্কার মেয়র প্রার্থী আলাউদ্দিন ভূঁইয়া গৌরনদী বন্দরে গণসংযোগকালে বলেন, নির্বাচন কমিশনার আবেদনটি আমলে নিয়ে শান্তিপূর্ন নির্বাচনের স্বার্থে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। তিনি আরও বলেন, শুক্রবার সকালে মোবাইল ফোন মার্কার প্রার্থীর সমর্থকরা তার দুইজন কর্মীর ওপর হামলা চালিয়ে গুরুত্বর আহত করেছে।
উল্লেখ্য, পৌরসভার মেয়র হারিছুর রহমান পদত্যাগ করে উপজেলা নির্বাচনে অংশগ্রহণ করে পরাজিত হয়েছেন। তার পদত্যাগের কারণে উপ-নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করেন জেলার জেষ্ঠ নির্বাচন কর্মকর্তা। আগামী ২৬ জুনের এ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের চারজন প্রার্থী
মেয়র পদে প্রতিদ্বন্ধীতা করছেন।