সে হিসেবে মাত্র ৮ দিন সময় পাচ্ছেন একজন করদাতা। অর্থাৎ ব্যক্তি পর্যায়ের নতুন করদাতাদের জন্য বাড়তি সুযোগ দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। প্রথমবারের মতো যারা আয়কর রিটার্ন জমা দেবেন, কেবলমাত্র তারাই জরিমানা ছাড়াই আগামী ৩০ জুন পর্যন্ত সময় পাবেন। তবে পুরাতন করদাতাদের আগের মতোই নির্ধারিত সময়ের রিটার্ন জমা দিতে হবে। না হলে গুনতে হবে জরিমানা।
শনিবার (২২ জুন) এ বিষয়ে এনবিআরের এক কর কমিশনার বলেন, ব্যক্তি পর্যায়ে যিনি আগে কখনো রিটার্ন দাখিল করেননি, তার জন্য আয়বর্ষ শেষ হবে পরবর্তী ৩০ জুন। অর্থাৎ ওই সময়ের মধ্যে যেকোনো দিন রিটার্ন দাখিল করতে পারবেন। আয়কর পরিপত্রে বিষয়টির বিস্তারিত ব্যাখ্যা রাখা হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা হলো ৪৪ ধরনের সেবা নিতে করদাতাকে প্রাপ্তিস্বীকারপত্র দেখাতে হবে। সুতরাং যত দ্রুত সম্ভব আয়কর রিটার্ন দাখিল করা উচিত।
তিনি বলেন, বিপুল সংখ্যক করদাতাকে করের আওতায় আনতে এটি একটি ভালো সিদ্ধান্ত। দেশে কোটির ওপর টিআইএনধারী রয়েছেন। যার মধ্যে এখন পর্যন্ত ৪০ লাখ করদাতা আয়কর রিটার্ন দাখিল করেছেন। আয়কর আইনে টিআইএনধারীদের জন্য রিটার্ন জমা বাধ্যতামূলক করা হলেও এনবিআর কখনই করদাতাদের বাধ্য করেনি।
চলতি বছরের ৩১ জানুয়ারি নিয়মিত করদাতাদের রিটার্ন জমার সময় শেষ হয়েছে। এরপর যারা টিআইএন নিয়েছেন, এমন নতুন করদাতাও ৩০ জুনের মধ্যে রিটার্ন দিতে পারবেন। এনবিআরের মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তাদের সূত্রে জানা যায়, ৩০ জুন পর্যন্ত রিটার্ন জমার সুযোগ নিয়ে অনেক নতুন করদাতা রিটার্ন জমা দিচ্ছেন।
সাধারণত প্রতি বছর ১ জুলাই থেকে ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার সময় নির্ধারণ করা থাকে। নির্দিষ্ট সময়ে দাখিল করতে ব্যর্থ হলে ব্যক্তিগত করদাতাদের প্রতি মাসে দুই শতাংশ হারে জরিমানা দিতে হয়।