শিরোনাম

যাত্রী সংকটে স্থবির বরিশাল বিমানবন্দর

Views: 51

বরিশাল অফিস: দক্ষিণাঞ্চলের ১মাত্র বিমান বন্দরটি রহস্যজনক কর্মকান্ড ও নানামুখি অপতৎপরতার ফলে ইতোমধ্যে শতাধিক কোটি টাকা বিনিয়োগের বরিশাল বিমান বন্দরের ভবিষ্যত সম্পূর্ণ অনিশ্চয়তার মুখে। রাষ্ট্রীয় বিমান এর সাথে বেসরকারী দুটি উড়ান সংস্থার সুষ্ঠু প্রতিযোগীতায় যাত্রীদের পদচারনায় মুখরিত থাকতো বিমান বন্দর।

তবে পদ্মা সেতু চালুতে বরিশাল সেক্টরের আকাশ পথে তেমন কোন বিরুপ প্রভাব না ফেললেও বরিশালের সাথে ফ্লাইট বন্ধের পায়তারা চলছে। গত বছর বরিশাল সেক্টরে বিমান এর যাত্রী চলাচল ছিল প্রায় ৭৫%। কিন্তু গত বছর ৫ আগষ্ট ফ্লাইট সংখ্যা হ্রাসের ঠিক এক বছর পরে চলতি বছরের একই তারিখে বরিশাল সেক্টরে ফ্লাইটের সময়সূচী পরিবর্তন করে ফলে এ সেক্টরে রাষ্ট্রীয় বিমানে ভ্রমনে এখন সাধারন যাত্রীদের আগ্রহ কমেছে ।

দি বরিশাল চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাষ্ট্রির সভাপতি আলহাজ্ব মোঃ সাইদুর রহমান রিন্টু বলেন,সরকারের পদ্মা সেতুর সাফল্য ম্লান করতেই সরকারি-বেসরকারী এয়ারলাইন্সগুলো অযৌক্তিকভাবে বরিশাল সেক্টরে ফ্লাইট সংকোচন করছে কিনা তা তদন্ত করা উচিত।

বেসরকারী ইউএস বাংলা এয়ারওয়েজে শুধু বরিশাল-ঢাকা আকাশ পথে ২ হাজার ৭৯৯ টাকার স্থলে ১১ হাজার ৬শ টাকায়ও টিকেট বিক্রী হচ্ছে। যাত্রীবান্ধব’ সময়সূচী ও নিয়মিত ফ্লাইটের অভাবে রাষ্ট্রীয় বিমানে ভ্রমনে আগ্রহ নেই যাত্রীদের। আগষ্ট জুড়ে মাঝে মাঝেই প্রবল বর্ষণ সহ মাসের বেশীরভাগ সময়ই দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ার কারণে গড় যাত্রী ভ্রমনের হার প্রায় ৬০% এ হ্রাস পাওয়ার পরই বেসরকারী উড়ান সংস্থাটি আগামী ৬ সেপ্টেম্বর থেকে বরিশাল সেক্টরে ফ্লাইট স্থগিতের ঘোষনা দিয়েছে।

নিয়মিত বিমান যাত্রী বরিশাল কাশিপুর ইউনিয়ানের আবুল বাশার বলেন,দক্ষিনাঞ্চলের বহুমুখি যোগাযোগ ব্যবস্থা অব্যাহত রাখার স্বার্থে আকাশ পরিবহন সচল রাখার কোন বিকল্প নেই। সরকারের কাছে হস্তক্ষেপ কামনা করি।

এ বিষয়ে প্রতিষ্ঠানটির জিএম কামরুল ইসলাম বলেন, পদ্মা সেতু চালুর পরে যাত্রী সংখ্যা কিছুটা কমলেও গত এক বছরে আমরা সে পরিস্থিতি উত্তরনে সক্ষম হয়েছি। কিন্তু যাত্রী সংকট না থাকলেও ক্রমাগত জ্বালানীর মূল্য বৃদ্ধি সহ গত জুলাই থেকে অভ্যন্তরীণ সেক্টরে নতুন করে যাত্রী প্রতি ২শ টাকা কর বৃদ্ধির ফলে লোকাসান হচ্ছে। তবুও আমরা বরিশাল সেক্টরে ফ্লাইট পরিচালন এর বিষয়টি ভবিষ্যত পরিকল্পনায় রেখেছি।

ইউএস বাংলা বন্ধের ফলে ৭ সেপ্টেম্বর থেকে বরিশাল বিমান বন্দরে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের সপ্তাহে মাত্র ৩টি ফ্লাইটই অবশিষ্ট থাকছে। তাও যাত্রী বান্ধব না হওয়ায় কতদিন টিকে থাকবে তা বলতে পারছেন না কেউ। দক্ষিনাঞ্চলে সুষ্ঠু এবং বহুমুখি ও নিরাপদ যোগাযোগ ব্যবস্থা রক্ষায় সরকারের গণ দায়বদ্ধতার স্থান থেকে বরিশাল সেক্টরে নিয়মিত সরকারি-বেসরকারী উড়ান অব্যাহত রাখার দাবী সকলে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *