এস এম পারভেজ, পিরোজপুর : সাম্প্রতিক অতিবর্ষনের প্রায় এক মাস হতে চললেও পিরোজপুরের পাড়েরহাট মৎস্য বন্দরের নবনির্মিত সেতুটির সংযোগ সড়কের দুই পাশ ধ্বংসে পড়লেও দীর্ঘদিনে সংস্কারের কোন উদ্যোগ নেই। ফলে মারাত্মক ঝুঁকি নিয়ে দুই পাড়ের স্কুল কলেজের অসংখ্য শিক্ষার্থী ও মানুষজনকে যাতায়াত করছে ।
এলাকাবাসির অভিযোগ, প্রায় সাড়ে ৮ কোটি টাকা ব্যয়ে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল বিভাগ (এলজিইডি) সেতুটি নির্মাণ করে।এসময় সংযোগ সড়কে শক্ত মাটির বদলে দেওয়া হয়েছে বালি, ফলে অতিবর্ষনে সংযোগ সড়কের বালি সড়ে পড়েছে।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের নথিপত্র থেকে জানাযায়, ২০১৬-১৭ অর্থবছরে পিরোজপুর জেলার পাড়েরহাট মৎস্য বন্দর এলাকায় ৮ কোটি ৪৮ লাখ ৫৯ হাজার টাকা ব্যয়ে সেতুটি নির্মাণের উদ্যোগ নেয় সরকার। নির্মাণ কাজের দায়িত্ব পায় একটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান। ২০১৮ সালের জানুয়ারী মাসে সেতুটি নির্মানের কাজে হাত দেয় ওই ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান। ২০২০ সালের জুন মাসে সেতুর মূল অবকাঠামোর কাজ শেষ না করেই অজ্ঞাত কারনে বন্ধ হয়ে যায় নির্মাণ কাজ। ফলে বাকি থাকে সেতুর দু’পাশের সংযোগ সড়কের কাজ। ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান ২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের শুরুতে সংযোগ সড়কের কাজ সম্পূর্ণ শেষ করলে কোনো উদ্বোধন ছাড়াই যানবাহন চলাচল শুরু করে । ৩ মাস যেতে না যেতেই দুই পাশের সংযোগ সড়ক ভেঙে পড়েছে। স্থানীয়দের অভিযোগ, সংযোগ সড়কে শক্ত মাটির বদলে বালি দেওয়ায় বৃষ্টিতে ভেঙে পড়ছে রাস্তা। সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় ঝুঁকি নিয়ে সেতু পারপার করতে হচ্ছে ছোটবড় অসংখ্য যানবাহন। এদিকে, সেতুর সংযোগ সড়ক ভেঙে যাওয়ায় জনদুর্ভোগের কথা বলছেন জনপ্রতিনিধিরাও।
এদিকে, ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান কবে নাগাদ ভাঙ্গা সড়কের নির্মাণ কাজ শেষ করবে এবং সেতুতে যানবাহন চলাচল শুরু হবে তা সঠিক করে কিছুই বলতে পারছে না এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুস সত্তার। তবে তিনি জানান, এক সপ্তাহের মধ্যে ভাঙা সড়কটি সংস্কার করে দেওয়ার কথা রয়েছে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালে শুরু হওয়া সেতুটি কার্যাদেশের দুই মাসের মধ্যে বাস্তবায়নের কথা থাকলেও ওই কাজ শেষ হতে সময় লেগেছে প্রায় ছয় বছর। স্থানীয় সূত্র বলছে, এলজিইডির কর্মকর্তাদের উদাসীনতাই জনগনের এখন চরম দুর্ভোগের কারণ হয়ে দাড়িয়েছে।