বরিশাল অফিস :: জেলার গৌরনদী পৌরসভার মেয়র পদের উপ-নির্বাচনে মোবাইল ফোন মার্কার প্রার্থী জয়নাল আবেদীনের সমর্থকরা ৯ নম্বর ওয়ার্ড ছাত্রলীগের সভাপতি
মাসুম সরদারকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়ে ও পিটিয়ে গুরুত্বর জখম করেছে। মুমূর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ সময় উত্তেজিত জনতা পাল্টা হামলা চালিয়ে কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য সোহান খানকে পিটিয়ে আহত করেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, কাসেমাবাদ হাই মার্কেট থেকে ভোট কেন্দ্রে ভোট দিতে যাচ্ছিলেন ছাত্রলীগ নেতা মাসুম। এসময় কিশোর গ্যাংয়ের সদস্য সোহান খান ও মিদুল সরদারের নেতৃত্বে মোবাইল ফোন মার্কার বহিরাগত সমর্থক রাসেল রাঢ়ী, রাজিব রাঢ়ীসহ ১০/১২ জনে নারিকেল গাছ মার্কার সমর্থক মাসুমকে কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। এ ঘটনা ছড়িয়ে পরলে উত্তেজিত জনতা ধাওয়া করে সোহান খানকে পিটিয়ে আহত করে। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনেন।
নারিকেল গাছ মার্কার মেয়র প্রার্থী আলাউদ্দিন ভূঁইয়া অভিযোগ করে বলেন, মোবাইল ফোন মার্কার প্রার্থী জয়নাল আবেদীনের সমর্থকরা সকাল থেকে ভোটকেন্দ্রে প্রভাব বিস্তারের জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে। আমার ভোটারদের চিহ্নিত করে কেন্দ্রে না যেতে বাড়িতে বাড়িতে গিয়ে হুমকি দিচ্ছে। জয়নালের সমর্থক স্থানীয় ও বহিরাগতরা নির্বাচনী এলাকার বিভিন্ন পয়েন্টে অবস্থান করে এ হুমকি দিচ্ছে। তারা ৪ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা পৌর কাউন্সিলর লিটন বেপারী ও তার দুইভাইকে মারধর এবং সাবেক কাউন্সিলর সৈয়দা খায়রুন নাহার মায়াকে শারিরিকভাবে লাঞ্ছিত করেছে।
উল্লেখ্য, গৌরনদী পৌরসভার মেয়র হারিছুর রহমান পদত্যাগ করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়ে পরাজিত হয়েছেন। তার পদত্যাগের কারণে মেয়র পদে উপ-নির্বাচনের ভোটগ্রহণ করা হচ্ছে। এ পৌরসভার ৩৭ হাজার ২৪৩ জন ভোটার নয়টি ওয়ার্ডের ১৪টি কেন্দ্রের ১০৬টি ভোট কক্ষে প্রথমবারের মতো ইভিএমের মাধ্যমে তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন। নির্বাচনে মেয়র পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্ধিতা করছেন।
ভোটগ্রহণের শুরু থেকে শেষপর্যন্ত আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা নিরলসভাবে দায়িত্ব পালন করে যাচ্ছেন।