শিরোনাম

ঋণ নিয়ে স্বামী লাপাত্তা, স্ত্রীকে লাঞ্ছিত করলেন এনজিও কর্মীরা

Views: 24

পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: ঋণের কিস্তি পরিশোধ না করায় থানার কথা বলে পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালীতে এক নারীকে এনজিওর অফিসে ডেকে এনে লাঞ্ছিত করার অভিযোগ উঠেছে শাখা ব্যবস্থাপক ও কর্মীদের বিরুদ্ধে।

গতকাল মঙ্গলবার রাতে বেসরকারি এনজিও কোডেকের উপজেলার বাহেরচর শাখায় এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, লাঞ্ছিত হওয়া নারী সদস্যের নাম আরজু বেগম। তার বাড়ি উপজেলার ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের চতলাখালী গ্রামে। তিনি ওই গ্রামের কৃষক মিজানুর ঘরামীর স্ত্রী।

গৃহিনী আরজু বেগম বলেন, তার নাম ব্যবহার করে ঋণ ছাড়িয়ে টাকা নিয়ে যান স্বামী। অর্ধেকের বেশি কিস্তি দিয়ে তার স্বামী এলাকা থেকে লাপাত্তা হয়ে যান। তাই কিস্তির টাকার জন্য এনজিও কর্মীরা তাকে চাপ প্রয়োগ করছিলেন। কিন্তু টাকা পরিশোধের কোনো সামর্থ্যই নেই তার। বরং সন্তানদের নিয়ে কষ্টে দিন কাটছে তার।

আরো পড়ুন : কলাপাড়ায় প্রান্তিক কৃষকদের প্রধানমন্ত্রীর উপহারের গাছ বিতরণ

আরজু বেগমের অভিযোগ, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তিনি ওই ইউনিয়নের বড়ইতলা বাজারে গেলে ঋণের জামিনদার দেলোয়ার হোসেন তাকে আটকে এনজিও কর্মীদের খবর দেন। খবর পেয়ে শাখা ব্যবস্থাপকসহ ৬-৭ জন কর্মী এবং একজন পুলিশ সদস্য গিয়ে আরজু বেগমকে রাঙ্গাবালী থানায় নিয়ে যাওয়ার কথা বলে কোডেক অফিসে নিয়ে যায়। সেখানে নিয়ে আরজু বেগমকে টাকা পরিশোধের জন্য চাপ প্রয়োগ করেন শাখা ব্যবস্থাপক এবং মাঠকর্মীরা। কিন্তু টাকা পরিশোধ করতে না পারায় অকাথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয়। একপর্যায় তাকে ঘাড় ধাক্কাও দেন শাখার ব্যবস্থাপক। পরে টাকা পরিশোধের শর্তে তাকে রাত ১০টার দিকে ছাড়া হয়।

প্রত্যক্ষদর্শী ছোটবাইশদিয়া ইউনিয়নের চতলাখালী গ্রামের শাহিন হোসেন বলেন, ঋণের টাকার জন্য ওই নারীকে কোডেক অফিসে এনে কয়েক ঘণ্টা আটকে রাখা হয়। গালিগালাজ ছাড়া তার গায়েও হাত পর্যন্ত তোলেন ম্যানেজার (ব্যবস্থাপক)। পরে টাকা পরিশোধের শর্তে ছাড়া পান ওই নারী।

অভিযোগ অস্বীকার করে কোডেকের বাহেরচর শাখা ব্যবস্থাপক হুমায়ুন কবির বলেন, আরজু বেগম এক লাখ টাকা ঋণ নিয়েছেন। কয়েকটি কিস্তি দেওয়ার পর তার কাছে মোট ৪২ হাজার টাকা বকেয়া রয়েছে আমাদের। কিন্তু তিনি পরপর তিন মাসে ৩০ হাজার টাকা কিস্তি দেননি। তার কাছে একাধিকবার যোগাযোগ করলেও তিনি কিস্তি পরিশোধ করেননি। তাই জামিনদারকে বিষয়টি জানানো হয়। জামিনদার তাকে পেয়ে দোকানে বসিয়ে আমাদেরকে জানান। আমি এবং অফিসের ৬-৭ জন ও থানার কনস্টেবল সোহান গিয়ে তাকে নিয়ে আসি। এসময় কনস্টেবল বিষয়টি থানা পর্যন্ত না গিয়ে অফিসে বসেই সমাধানের প্রস্তাব দেন। পরে বিষয়টি নিয়ে আমরা আমাদের অফিসে বসি। এইসময় আরজুর সঙ্গে বাকবিতণ্ডা হয়। কিন্তু তার গায়ে কেউ হাত দেয়নি। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা।

রাঙ্গাবালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. হেলাল উদ্দিন বলেন, এ বিষয়টি আমার জানা নেই এবং আমাকে কেউ বলেওনি। খোঁজ নিয়ে দেখবো।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *