চন্দ্রদ্বীপ ডেস্ক: ফিলিস্তিনি সশস্ত্র গোষ্ঠী হামাসের সঙ্গে গত বছরের ৭ অক্টোবর দখলদার ইসরায়েলের যুদ্ধ শুরু হয়। গাজাবাসীর প্রতি সংহতি জানিয়ে এর পরের দিন— ৮ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বসতিতে হামলা চালানো শুরু করে লেবাননের সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহ।
সময় গড়ানোর সঙ্গে হিজবুল্লাহর হামলার তীব্রতাও বাড়তে থাকে। যা গত কয়েকদিনে আরও বেড়েছে। এতে করে সীমান্তবর্তী বিভিন্ন অঞ্চলে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছে। সঙ্গে বিভিন্ন সামরিক অবকাঠামো ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
যুদ্ধের শুরুতে হিজবুল্লাহর হামলার কারণে সীমান্তবর্তী অনেক বসতি থেকে সাধারণ মানুষকে সরিয়ে নিতে বাধ্য হয় ইসরায়েল। প্রায় আট মাস ধরে বাড়িঘর ছাড়া হওয়া এসব মানুষ এখন বাড়িতে ফিরতে চাচ্ছেন।
হিজবুল্লাহর উদ্দেশ্য ছিল লেবানন সীমান্তে ইসরায়েলিদের ব্যস্ত রাখা। যেন গাজায় তারা পূর্ণ মনোযোগ দিতে না পারে এবং একটা সময় হামলা বন্ধ করে দেয়।
হিজবুল্লাহর এই কৌশল কাজে দিতে যাচ্ছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। ইসরায়েলি সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইসরায়েল বুধবার (২৬ জুন) এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, হিজবুল্লাহর হামলা বন্ধে— ইসরায়েল গাজায় হামলার তীব্রতা কমানোর পরিকল্পনা করছে। তাদের আশা, যদি গাজায় তারা কম হামলা চালায় তাহলে হিজবুল্লাহও ইসরায়েলের বসতি লক্ষ্য করে কম রকেট ছুড়বে। এছাড়া হিজবুল্লাহর সঙ্গে যুদ্ধ এড়ানোরও চেষ্টা করছে দখলদার ইসরায়েল।
নাম গোপন রাখার শর্তে এক ইসরায়েলি কর্মকর্তা সংবাদমাধ্যমটিকে বলেছেন, গাজায় হামাস-ইসরায়েল যুদ্ধবিরতি হওয়ার সম্ভাবনা এখন কম। কিন্তু যতদিন গাজায় যুদ্ধ বন্ধ না হবে ততদিন হিজবুল্লাহ তাদের হামলা বন্ধ করবে না। এ কারণে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরায়েল ভিন্ন কৌশল ভাবা শুরু করেছে। আর ভিন্ন কৌশল হিসেবে তারা গাজায় হামলার তীব্রতা কমানোর পরিকল্পনা করছে।
এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রের শঙ্কা, হিজবুল্লাহ ও ইসরায়েলের মধ্যে এখন যে পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে, এটি যদি এখনই না থামানো হয় তাহলে এটি পূর্ণমাত্রার যুদ্ধে রূপ নিতে পারে।
ইসরায়েলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োয়াভ গ্যালান্টের সর্বশেষ যুক্তরাষ্ট্র সফরে এই কৌশল নিয়ে আলোচনা হয় বলেও জানিয়েছে সংবাদমাধ্যমটি।
গাজার রাফাতে বর্তমানে ধ্বংসযজ্ঞ চালাচ্ছে ইসরায়েলি সেনারা। সেখানে থাকা একটি ইনফান্ট্ররি ব্রিগেডের কমান্ডার জানিয়েছেন, আগামী এক মাসের মধ্যে রাফাতে তাদের অভিযান শেষ হয়ে যাবে।
রাফাতে বড় অভিযান শেষ হলেও প্রায় সময়ই বিভিন্ন জায়গায় আকস্মিকভাবে অভিযান চালানো হবে বলেও জানিয়েছেন ইসরায়েলি সামরিক কর্মকর্তারা।
সূত্র: টাইমস অব ইসরায়েল