বরগুনার আমতলী-তালতলীসহ উপকুলীয় এলাকায় নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে চলছে গলদা-বাগদা চিংড়ির রেণু সংগ্রহ। এই রেণু সংগ্রহ করতে গিয়ে ধ্বংস করা হচ্ছে প্রায় বিভিন্ন মাছ ও জলজ প্রাণীর পোনা।
বৃহস্পতিবার সরেজমিন দেখা গেছে, নিষিদ্ধ মশারি জাল দিয়ে জেলেরা চিংড়ি রেণু আহরণ করছেন। সেগুলো কম দামে কিনে স্থানীয় ব্যাপারীরা দ্বিগুণ দামে বিক্রি করছে আমতলী উপজেলা সহ পার্শ্ববর্তী তালতলী কলাপাড়া , মহিপুর কুয়াকাটা আললিপুরের বিভিন্ন চিংড়ি ঘের মালিকদের কাছে। রেণু সংগ্রহের কাজটি অবৈধ হলেও জীবিকার তাগিদে প্রকাশ্যেই চলছে এ কাজ।
পায়রা নদীতে মশারী নেট জাল দিয়ে মাছ ধরতে দেখা যায় বছরের মে থেকে আগস্ট মাস পর্যন্ত। মাছের প্রজনন মৌসুম হওয়ায় পোনা ধরার ক্ষেত্রে সরকারি নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।পায়রা নদীর তীরবর্তী গ্রাম যেমন আঙ্গুলকাটা, ঘটখালী, বৈঠাকাটা, ফেরিঘাট, বাইল্লাতলী, তেুললবাড়িয়া, আন্দার মানিকসহ বিভিন্ন নদীতীরবর্তী গ্রাম গুলিতে প্রতিদিনই রেনু চিংড়ি পোনা আহরণ করা হচ্ছে। শতশত মানুষ চিংড়ি পোনা আহরণ করে এই সময়ে তাদের জীবিকা নির্বাহ করছে।
দেখা যায়, পোনা আহরনকারীরা বাগদা-গলদা চিংড়ির রেণু সংগ্রহ করে অন্য মাছের রেণু ও জলজ প্রাণী ফেলে দিচ্ছে। স্থানীয় ঘের মালিকরা এদের কাছ রেনু পোনা সরবরাহ করছে।
জব্বার মিয়া নামের একজন পোনাআহরকারী জানান, চিংড়ির রেণু সংগ্রহ করার সময় কোরাল, কাঁকড়া, চিরিং, বাইলা, তফসে, বাটা, চাপিলা, ফাইলসে, টেংরা, পোমা,কাঁচকিসহ অনেক প্রজাতির পোনাও ওঠে আসে। তারা শুধু চিংড়ি পোনা রেখে বাকিগুলো ফেলে দেন।
সহিদ মিয়া নামের একজন পোনা আহরনকারী জানান, প্রতিটি চিংড়ির পোনার জন্য তারা ভালো দাম পান। কিন্তু অন্য মাছের পোনা বিক্রি হয় না তাই ফেলে দেই না হলে সাইজ একটু বড় হলে কাচকী মাছ হিসেবে বাজারে বিক্রি করে দেই। ছোট ছোট ঘের যারা করে তারা এই পোনা সংগ্রহ করে নিয়ে যায়। একটি গলদা বা বাগদা চিংড়ির রেণু সংগ্রহ করতে গিয়ে অন্য অনেক প্রজাতির মাছের পোনা ধ্বংস হয়ে যায়। এর সাথে ধ্বংস হয় অন্যান্য জলজ জীবের পোনা বা রেণুও।
এব্যাপারে আমতলী উপজলা সিনিয়র মৎস্য কর্মকর্তা এস এম মাহমুদুর রহমান বলেন, রেনু পোনা ধরা ও পরিবহন করা আইনগত অপরাধ।উপজেলা মৎস্য অফিস এ বিষয় তৎপর রয়েছ। সরেজমিন পাওয়া গেল আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।