পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর বাউফলে প্রতিবেশীর সঙ্গে জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জেরধরে মোঃ মিলন খানের একটি মাছের ঘেরের মাছ লুট ও সবজি বাগানের বিভিন্ন প্রজাতের গাছ কেটে ফেলার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
উপজেলার বগা ইউনিয়নের ৮ নম্বর ওয়ার্ড বালিয়া চাঁদপাল গ্রামে শুক্রবার (২৮ জুন) সন্ধ্যার দিকে এ ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার বগা ইউনিয়নের চাঁদপাল গ্রামে মৃত্যু আয়নাল খানের ছেলে মোঃ মিলন খানের সাথে একই এলাকার মৃত্যু কাদের হাওলাদের ছেলে আলতাফ হোসেন হাওলাদার (৬৫), আহাম্মদ হাওলাদারের মোঃ হারুন হাওলাদার (৫০) গংদের সাথে পূর্ব থেকে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলছিল। ঘটনার দিন শুক্রবার সন্ধ্যার দিকে মোঃ মিলন খানের ভোগ দখলীয় জমিতে মোঃ আলতাফ হোসেন হাওলাদার (৬৫), মোঃ হারুন হাওলাদার (৫০) এবং মোঃ আলতাফ হোসেন হাওলাদারের ছেলে ইব্রাহমি হাওলাদার (৩৬) জোরপূর্বক মাছের ঘেরের মাছ লুট ও সবজি বাগানে সবজি গাছ কেটে ফেলা হয়েছে। সংবাদ পেয়ে ঘটনাস্থলে এসে মোঃ মিলন খান প্রতিবাদ করলে তাকে মারধর করে মাছ নিয়ে যায় এবং সবজি গাছ কেটে ফেলে রেখে যায়।
আরো পড়ুন : পটুয়াখালীতে এইচএসসি পরীক্ষায় ১৭২ জন অনুপস্থিত
এ বিষয়ে মো. মিলন খান বলেন, আমি প্রায় ১বছর আগে অভিযুক্ত মো. আলতাফ হোসেনের প্রথম স্ত্রী’র মনোয়ারা বেগমের কাছ থেকে ৮ লক্ষ টাকায় ৩০ শাতাংশ জমি ক্রয় করিয়াছি। এবং মনোয়ারা বেগম আমাকে জমি বুঝিয়ে দিয়েছে। তখন থেকে আমি জমিতে ধান চাষ ও সবজির চাষ ও মাছের ঘের করে মাছ চাষ করে আসছিলাম। কিন্তু সম্প্রতি মনোয়ারা বেগম মারা জাবার পরে তারা আমাকে জমি ছেড়ে দিতে বলে। এতে আমি রাজি না হওয়ায় অভিযুক্তরা জমি দখলে নেওয়ার জন্য জোর করে মাছ ধরে নিয়ে যায় এবং পুকুরের পারে লাগানো বিভিন্ন প্রজাতির সবজি গাছ কেটে ফেলে। এ সময় আমি প্রতিবাদ করলে আমাকে মারধর করলে আমার ডাক-চিৎকারে আলাল খান আসিলে, আলতাফ হোসেন হাওলাদার, হারুন হাওলাদার এবং ইব্রাহিম হাওলাদার দৌড়ে পালিয়ে যান।
এসব অভিযোগের বিষয়ে অভিযুক্ত ইব্রাহিম হাওলাদার বলেন, সব মিথ্যা কথা সাজানো নাটক। আমরা ওই সবজি গাছ কাটিনাই। তার (মিলন) দখলের জমি আমাদের। আমাদের জমি আমার বুঝে নিতে পটুয়াখালী জজ কোট আদালতে মামলা করেছি তা এখন চলমান । ওই মামলা থেকে রেহাই পেতে নিজেরা নিজে সবজি বাগান কেটে আমাদের ফাঁসানোর পায়তারা করছে।