পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: বরগুনার আমতলীতে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর মিছিল যেন থামছেই না। গত এক সপ্তাহে পৃথক কয়েকটি সড়ক দুর্ঘটনায় ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে। এছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ৪০ জন।
সবশেষ গতকাল রবিবার (৩০ জুন) বরিশাল থেকে লাশবাহী অ্যাম্বুলেন্সে কলাপাড়া যাওয়ার পথে মোটরসাইকেল ও অ্যাম্বুলেন্সের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। আমতলী- পটুয়াখালী আঞ্চলিক মহাসড়কের ডাক্তারবাড়ী নামক স্থানে এ দুর্ঘটনা ঘটে। এতে ঘটনাস্থলেই দুইজন নিহত হন, আহত হন আরো একজন।
এর আগে গত শুক্রবার (২৮ জুন) একই সড়কে আমতলীর মহিষকাটা বাজারে মোটরসাইকেল ও বাসের মুখোমুখি সংঘর্ষে একজন মাছ ব্যবসায়ী নিহত হন। আহত হন আরো চারজন।
একইদিন আমতলীর ঘটখালীতে বাস-ট্রাক সংঘর্ষে আহত হন পাঁচজন।
গত ২২ জুন বৌভাতে যাওয়ার পথে হলদিয়াহাট লোহার সেতু ভেঙে মাইক্রোবাস খালে পড়ে নারী ও শিশুসহ ৯ জন নিহত হন। এ দুর্ঘটনায় আহত হন আরো অন্তত আটজন।
এছাড়াও গত এক সপ্তাহে উপজেলার আমতলী- তালতলী সড়কসহ বিভিন্ন অভ্যন্তরীণ সড়কে পৃথক মোটরসাইকেল ও ইজিবাইক দুর্ঘটনায় আরো অন্তত ২৬ জন আহত হয়েছেন।
আরো পড়ুন : পটুয়াখালীতে বঙ্গোপসাগর উত্তাল – ৩ নম্বর স্থানীয় সতর্ক সংকেত
এ বিষয়ে আমতলীর প্রবীণ সাংবাদিক খান মতিয়ার রহমান বলেন, ‘পদ্মা সেতু চালু হওয়ার পর দক্ষিণাঞ্চলের সড়কপথে যানবাহনের চাপ অনেক বেড়ে গেছে। সে অনুযায়ী যানবাহন চলাচলের জন্য সড়ক প্রশস্থ করা হয়নি। এছাড়া গাড়ির চালকদের অদক্ষতা, অসচেতনতা ও আঞ্চলিক মহাসড়কের সড়ক অব্যবস্থাপনাই প্রাণহানির প্রধান কারণ। তবে পটুয়াখালী-আমতলী ও কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়ক চার লেনে উন্নতি করা প্রয়োজন, তা নাহলে সড়ক দুর্ঘটনা ঠেকানো অসম্ভব হয়ে যাবে।’
সচেতন মহল অবিলম্বে পটুয়াখালী-আমতলী ও কুয়াকাটা আঞ্চলিক মহাসড়কটি চারলেন ও হাইওয়েতে পুলিশ দেওয়ার জোর দাবি জানান। না হলে মৃত্যুর মিছিল থামানো যাবে না বলে মত তাদের।
আমতলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাজী সাখাওয়াত হোসেন তপু বলেন, ‘আমরা ট্রাফিক বিভাগকে সঙ্গে নিয়ে ব্যবস্থা নিচ্ছি। এছাড়া সড়কে দুর্ঘটনা কমাতে আইনি প্রক্রিয়াও যথাযথভাবে পালন করে যাচ্ছি।’
আমতলী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, ‘চালকদের চোখে পড়ে এমন রোড সাইন, রোড পোস্ট এবং মার্কিং করা জরুরি। প্রয়োজনে আমতলীতে দ্রুত হাইওয়ে পুলিশের ব্যবস্থা করা দরকার। হাইওয়ে পুলিশ থাকলে সড়কে দুর্ঘটনা অনেকটাই কমে যাবে।