বরিশাল অফিস :: সদ্য সমাপ্ত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ও পৌর নির্বাচনে সমর্থন করা প্রার্থী পরাজিত হওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে এক ইউপি চেয়ারম্যানকে হত্যা পরিকল্পনায় খুনি ভাড়া করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাধারণ ডায়রীর জন্য আবেদন করা হয়েছে। ঘটনাটি জেলার গৌরনদী উপজেলার।
একটি নির্ভরযোগ্য গোয়েন্দা সংস্থার দায়িত্বশীল এক কর্মকর্তাও একই মাসে দুইটি নির্বাচন পরবর্তী গৌরনদীতে হত্যা পরিকল্পনার আশঙ্কা করেছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ইতোমধ্যে বিষয়টি সংশ্লিষ্ট ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের অবহিত করা হয়েছে।
সোমবার দুপুরে উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা কালিয়া দমন গুহর ছেলে প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত মাহিলাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক সৈকত গুহ পিকলু অভিযোগ করে বলেন, পৌরসভার সাবেক মেয়র ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারিছুর রহমান গত ৯ জুনের উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান প্রার্থী হয়েছিলেন। ওই নির্বাচনে আমি (পিকলু) পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি মনির হোসেন মিয়াকে সমর্থন করি। নির্বাচনে মনির হোসেনের কাছে পরাজিত হয় হারিছুর।
তিনি আরও বলেন, এরপর গত ২৬ জুনের পৌরসভার উপ-নির্বাচনে আমি আওয়ামী লীগ নেতা আলাউদ্দিন ভূঁইয়াকে সমর্থন করি। ওই নির্বাচনে হারিছুর রহমান জয়নাল আবেদীনকে সমর্থন করেন। সেই নির্বাচনেও হারিছের সমর্থক প্রার্থী পরাজিত হয়। এই দুই নির্বাচনে হারিছুর রহমান পরাজিত হয়ে চরমভাবে ক্ষিপ্ত হয়। একপর্যায়ে সে আমাকে হত্যার জন্য নারায়নগঞ্জ থেকে অস্ত্রসহ খুনি ভাড়া করে নিয়ে এসেছে। ওই ভাড়াটিয়া সন্ত্রাসীরা বর্তমানে হারিছুরের আশ্রয়ে রয়েছে।
ইউপি চেয়ারম্যান সৈকত গুহ পিকলু আরও বলেন, ইতোমধ্যে হারিছুর রহমান তার সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে আমাকে দুইবার এবং আমার ছোট ভাইকে তিনবার কুপিয়ে হত্যার চেষ্টা চালিয়েছে। হামলার ঘটনায় হারিছুর রহমানকে প্রধান আসামি করে মামলা দায়েরের পরেও অদ্যবর্ধি সে গ্রেপ্তার না হওয়ায় আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। বর্তমানে যেকোন সময় আমার ওপর হামলার আশঙ্কা রয়েছে। তাই বিষয়টি সাধারণ ডায়েরীর জন্য থানায় আবেদন করা হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে হারিছুর রহমানের ব্যবহৃত মোবাইল ফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তা বন্ধ থাকায় কোন বক্তব্য নেওয়া যায়নি। তবে গৌরনদী মডেল থানার ওসি (তদন্ত) মোঃ মাজহারুল ইসলাম বলেন, নির্বাচনের শুরু থেকে অদ্যবর্ধি উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ স্থানে পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। কোন সন্ত্রাসীদের গৌরনদীতে স্থান হবেনা বলেও তিনি উল্লেখ করেন।