পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: ‘বৈষম্য নিপাত যাক, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি মুক্তি পাক’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে ২ দফা দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো চলছে পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কর্মকর্তা কর্মচারীদের কর্মবিরতি।
মঙ্গলবার (২ জুলাই) বেলা ১০ টায় পটুয়াখালী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির কার্যালয়ের সামনে জরুরী বিদ্যুৎ সেবা চালু রেখে এ কর্মবিরতি শুরু করেন সমিতির শতাধিক কর্মকর্তা-কর্মচারী।
আন্দোলনকারীদের দাবি স্মার্ট ও টেকসই বিদ্যুৎ ব্যবস্থা বিনির্মাণে আরইবি-পিবিএস একীভূতকরণসহ অভিন্ন চাকরিবিধি বাস্তবায়ন। ভবিষ্যতে বিদ্যুৎ ব্যবস্থা সচল রাখতে এবং গ্রাহক সেবার মান উন্নয়নের জন্য সব চুক্তিভিত্তিক ও অনিয়মিত কর্মচারীদের চাকরি নিয়মিত করা।
আরো পড়ুন : পটুয়াখালীতে ঘূর্ণিঝড় রেমালের ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে খাদ্য ও সামগ্রী বিতরণ
আন্দোলনকারীদের অভিযোগ, সমিতির তদারকি প্রতিষ্ঠান পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ডের (বিআরইবি) দ্বৈত নীতির কারণে ন্যায্য সুযোগ সুবিধা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন দেশের ৮০টি পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির প্রায় ৪০ হাজার কর্মকর্তা এবং কর্মচারী। একই প্রতিষ্ঠানে চাকরি করলেও পদ-পদবি, বেতন-ভাতা, বোনাসসহ পদোন্নতির ক্ষেত্রে চরম বৈষম্যের শিকার হচ্ছেন তারা। শুধু তাই নয়, বিআরইবির অদক্ষতা ও নিম্নমানের সামগ্রীর কারণে হয়রানির শিকার হতে হচ্ছে তাদের। বিতরণ লাইনে ব্যবহৃত নিম্নমানের মালামালের জন্য ভালো গ্রাহক সেবা নিশ্চিত করা সম্ভব হয় না।
এসময় পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির অপারেশন ও ম্যান্টেনেন্স বিভাগের সহকারি জেনারেল ম্যানেজার মশিউর রহমান, বিলিং সহকারী আইরিন, মিটার রিডার মো: জাহিদ হাসান সহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। বক্তারা বিলিং সহকারী ও মিটার রিডারসহ বিভিন্ন পদের চাকুরী স্থায়ীকরণ ও একই পদের বৈষম্য দূরীকরণ সহ ২ দফা দাবি মেনে নেয়ার আহ্বান জানান। দাবি না মানলে লাগাতার কর্মবিরতিসহ আরো কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে বলে জানান।