কিন্তু ইসরায়েল এ দাবি মানতে চায়নি। আর এ কারণে এখন হামাস তাদের প্রধান শর্তে ছাড় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস ও মিসরের দুটি সূত্র।
শর্তে ছাড় দেওয়ায় গত বছরের নভেম্বরের পর এবারই হামাস ও ইসরায়েলের মধ্যে যুদ্ধবিরতির সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। তবে যুদ্ধবিরতি যে হবেই এমন কোনো নিশ্চয়তা দুই পক্ষের কেউ দেয়নি।
হামাস মধ্যস্থতাকারীদের আনুষ্ঠানিকভাবে জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন যুদ্ধবিরতির যে প্রস্তাব দিয়েছিলেন সেটি তারা মেনে নিয়েছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক দুই কর্মকর্তা বলেছেন, যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ছয় সপ্তাহের পূর্ণ যুদ্ধবিরতি থাকবে। এই সময়ে হামাস বেশ কয়েকজন অসুস্থ, নারী ও শিশু জিম্মিকে মুক্তি দেবে। অপরদিকে ইসরায়েল তাদের কারাগার থেকে কয়েক হাজার ফিলিস্তিনিকে মুক্তি দেবে।
এছাড়া যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপে ইসরায়েলি সেনারা গাজার জনবহুল এলাকাগুলো থেকে সরে যাবে এবং উপত্যকাটির সাধারণ মানুষকে তাদের বাড়িঘরে ফিরতে দেবে। এরপর দ্বিতীয় ধাপে আরও জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হবে। এতে থাকবে ইসরায়েলি সেনারা। আর তৃতীয় ধাপে শুরু হবে গাজাকে পুনর্গঠনের কাজ।
বার্তাসংস্থা এপি জানিয়েছে, হামাস মধ্যস্থতাকারী দেশগুলোকে জানিয়েছে, তাদের লিখিত নিশ্চয়তা দিতে হবে, যখন যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ শুরু হবে তখন ইসরায়েলকে স্থায়ী যুদ্ধবিরতির আলোচনা যাবে।
হামাসের একটি সূত্র বার্তাসংস্থাটিকে জানিয়েছে, তারা মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে মৌখিক নিশ্চয়তা পেয়েছেন, যতদিন পর্যন্ত স্থায়ী যুদ্ধবিরতি না হচ্ছে ততদিন আলোচনা চলবে এবং যুদ্ধ আর শুরু করা হবে না।
সূত্র: এপি