শিরোনাম

জামালপুরে কমতে শুরু করেছে যমুনা নদীর পানি

Views: 34

বরিশাল অফিস :: জামালপুরে কমতে শুরু করেছে যমুনা, ব্রহ্মপুত্রসহ বিভিন্ন নদ-নদীর পানি। কিছুটা পানি কমলেও সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অপরিবর্তিত রয়েছে।

গত ২৪ ঘণ্টায় বাহাদুরাবাদ ঘাট পয়েন্টে যমুনা নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৯০ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।

বিস্তীর্ণ জনপদে বন্যার পানি ছড়িয়ে পড়ায় ইতিমধ্যে জেলার ইসলামপুর, দেওয়ানগঞ্জ, মাদারগঞ্জ, মেলান্দহ ও সরিষাবাড়ী উপজেলার ৪৫ ইউনিয়নের প্রায় আড়াই লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছে। তবে প্রশাসন বলছেন ২৩ হাজার পরিবারের প্রায় দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দি হয়েছেন।

জামালপুর জেলা প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষা অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, বন্যার পানিতে জেলার প্রাথমিক ও মাধ্যমিকের ২১৪টি বিদ্যালয় প্লাবিত হয়েছে। মাধ্যমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রয়েছে ইসলামপুর উপজেলায় ৩০টি, দেওয়ানগঞ্জে ২৫টি, মাদারগঞ্জে ৭টি ও বকশীগঞ্জে ১টি।

সদর উপজেলা ছাড়া জেলার চারটি উপজেলায় ১৫১টি প্রাথমিক বিদ্যালয় বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।

শনিবার (৬ জুলাই) সকাল থেকে বিকাল পর্যন্ত দেওয়ানগঞ্জ ও ইসলামপুর উপজেলার বিভিন্ন বন্যার্ত এলাকায় সরেজমিনে বানভাসি মানুষের সাথে কথা বলে জানা গেছে, সবচেয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন যমুনা নদীর দুর্গম চরাঞ্চলের মানুষ। এসব অঞ্চলের অধিকাংশ মানুষ হতদরিদ্র। যমুনার ঢলে অনেকের ঘরবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। পাঁচ দিন ধরে পানিবন্দি হয়ে থাকায় অনেক দিনমজুরের আয়রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে।

দুর্গম প্রজাপতিরচর এলাকার হতদরিদ্র আবু সাইদ বলেন, গত মঙ্গলবার সকাল থেকে আমাদের বাড়িতে পানি উঠতে শুরু করে। সন্ধ্যার দিকে ঘরের মেঝেতে উঠে। পরের দিন চারদিকে অথৈ পানি আর পানি। আমি পরের জমিতে কাজ করে সংসার চালাই। এখন জমিসহ ঘরবাড়ি পানির নিচে থাকায় সকল আয়রোজগার বন্ধ হয়ে গেছে।

তার মতো অনেক হতদরিদ্র দিনমজর রয়েছেন, সবারই একই অবস্থা।

শরিফ নামে একজন বলেন, দিন কাজ করে সংসার চালাই। বানের পানি উঠায় সকল ইনকাম বন্ধ। পরিবার নিয়ে খেয়ে না খেয়ে দিন পাড় করছি কেউ খোঁজ খবরও নিতে আসে না।

এদিকে দেওয়ানগঞ্জ রেলওয়ে স্টেশন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে প্রবেশ করেছে বন্যার পানি।

দেওয়ানগঞ্জ উপজেলার দেওয়ানগঞ্জ-খোলাবাড়ি সড়কের একটি সেতুর সংযোগ সড়ক ও কাঠারবিল এলাকায় দেওয়ানগঞ্জ-সানন্দবাড়ী আঞ্চলিক সড়কের ৩০ মিটার অংশ বন্যার পানিতে ভেঙে যাওয়ায় এখনো বন্ধ রয়েছে ওই এলাকার সাথে সড়ক যোগাযোগ ব্যবস্থা।

জামালপুরের পানি উন্নয়ন বোর্ডের পানি পরিমাপক (গেজ রিডার) আব্দুল মান্নান বলেন, গত ২৪ ঘণ্টয় যমুনা নদীর পানি ৪ সেন্টিমিটার কমে বিপৎসীমার ৯০সেন্টিমিটার উপর প্রবাহিত হচ্ছে।

জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আলমগীর হোসেন বলেন, এখন জেলার বানভাসিদের জন্য ৬ উপজেলায় ১৯০ মেট্রিক টন চাল ও ৩ হাজার ৪০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বিতরণের জন্য বরাদ্দ দেয়া হয়েছে।

image_pdfimage_print

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *