পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীতে অনুষ্ঠিত হয়েছে ই-জিপি বিষয়ক কর্মশালা। রোববার জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি (বিপিপিএ) এর পরিচালক (যুগ্ম সচিব) মো. নাছিমুর রহমান শরীফ।
তিনি বলেন, সরকারি ক্রয়ে ইলেকট্রনিক গভর্নমেন্ট প্রকিউরমেন্ট বা ই-জিপি সিস্টেম উল্লেখযোগ্য সুফল বয়ে এনেছে।
পটুয়াখালী জেলা প্রশাসক মো. নূর কুতুবুল আলম এতে সভাপতিত্ব করেন। পটুয়াখালী জেলা পুলিশ সুপার মো. সাইদুল ইসলাম বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন।
আছিমুর রহমান শরীফ তার বক্তৃতায় উল্লেখ করেন, ই-জিপিকে একটি পূর্ণাঙ্গ অনলাইন সিস্টেমে পরিণত করার জন্য এতে কিছু নতুন মডিউল যুক্ত করা হয়েছে।
আরো পড়ুন : পটুয়াখালীতে রথযাত্রার আনুষ্ঠানিকতা শুরু
তিনি বলেন, মোট সরকারি ক্রয়ের প্রায় ৭০ শতাংশ এখন ই-জিপি’র মাধ্যমে পরিচালিত হচ্ছে। তিনি দেশে ই-জিপি বাস্তবায়নের মাধ্যমে সরকারি ক্রয়ের ক্ষেত্রে অর্জিত ইতিবাচক ফলাফলগুলিও উল্লেখ করেন। ‘এ পর্যন্ত ১১টি দেশ এবং পাঁচটি আন্তর্জাতিক সংস্থা আমাদের ই-জিপি সাফল্য সম্পর্কে জানার জন্য বিপিপিএ পরিদর্শন করেছে’।
তিনি উল্লেখ করে বলেন, ই-জিপি এখন সরকারি ক্রয় প্রক্রিয়ায় ক্রয়কারী সংস্থাগুলির জন্য বাধ্যতামূলক।
একই ধরনের একটি কর্মশালা আগামীকাল (সোমবার) বাকেরগঞ্জ উপজেলায় অনুষ্ঠিত হবে। বাংলাদেশ সেন্টার ফর কমিউনিকেশন প্রোগ্রামস (বিসিসিপি) বিপিপিএ কর্তৃক নিয়োজিত পরামর্শক হিসেবে কর্মশালাটি পরিচালনা করেছে।
স্থানীয় ক্রয়কারী সংস্থা, দরদাতা, ব্যাংক ও গণমাধ্যমের প্রায় ৭৫ জন প্রতিনিধি কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন। কিছু ক্রয়কারী সংস্থা ও দরদাতা সরকারি ক্রয় ও ই-জিপি সিস্টেম সম্পর্কে প্রশ্ন উত্থাপন করেন। মো. নাসিমুর রহমান শরীফ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অ্যাক্ট ২০০৬ এবং পাবলিক প্রকিউরমেন্ট রুলস ২০০৮ অনুযায়ী ব্যাখ্যা প্রদান করেন।
বিপিপিএ (পূর্বতন সিপিটিইউ) সরকারি ক্রয়ের ডিজিটাইজেশনের জন্য ই-জিপি চালু করে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ২০১১ সালের ২ জুন ই-জিপি পোর্টাল উদ্বোধন করেন। বিপিপিএ কর্তৃক নিয়োজিত দোহাটেক নিউ মিডিয়া প্রধান পরামর্শক হিসাবে, বেক্সিমকো আইটি এবং জিএসএস ইনফোটেকের সাথে ই-জিপি সিস্টেম পরিচালনা ও রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে।