পটুয়াখালী প্রতিনিধি :: পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালী উপজেলার চরমোন্তাজ ইউনিয়নে সরকারি খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে প্রভাবশালী একটি মহল। এতে কৃষি কাজ নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছে ওই ইউনিয়নের প্রায় তিন শতাধিক কৃষকপরিবার। মুষলধারা বৃষ্টিতে তিন গ্রামের ৭শ একর আবাদি কৃষিজমিতে ৩ ফুট পানি জমে রয়েছে। খালে বাঁধ দেওয়ার কারণে জমানো পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় কৃষিকাজ নিয়ে দুর্বিষহ অবস্থায় কৃষক পরিবারগুলো। স্থানীয়দের মাধ্যমে পানি নিষ্কাশনে প্রতিকার না পেয়ে উপজেলা পরিষদ চত্বরে প্রশাসনের সহায়তা চেয়ে মানববন্ধন করেছে দুই শতাধিক কৃষক।
এ নিয়ে রোববার (৭ জুলাই) Chandradip News24 .com অনলাইনে ‘ পটুয়াখালী সরকারি খালে অবৈধ বাঁধ, ৩ গ্রামের ৭শ একর জমি পানিবন্দি ’ শিরোনামে সংবাদ প্রচারিত হয়। সংবাদ প্রচারের পর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমানের নির্দেশনায় চরমোন্তাজ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপ-পরিদর্শক নাজমুল হাসানের নেতৃত্বে সরকারি খালে প্রভাবশালীদের অবৈধ বাঁধগুলো গত রোব ও সোমবার কেটে অবমুক্ত করা হয়।
আরো পড়ুন : পটুয়াখালীতে রথযাত্রা থেকে মোবাইল চোর চক্রের ৪ সদস্য আটক
জানা গেছে, চরমোন্তাজ ইউনিয়নের উত্তর চরমোন্তাজসহ ৩টি গ্রামের মাঝ দিয়ে বয়ে যাওয়া খালটি মণ্ডল স্লুইচ খালের সাথে সংযুক্ত। দীর্ঘদিন ধরে ওই খালে প্রভাবশালী একটি মহল ১০-১২ টি বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করছে। যার ফলে ওই গ্রামের প্রায় ৭শ একর আবাদি জমি পানিতে নিমজ্জিত রয়েছে। এ কারণে বন্ধ রয়েছে চাষাবাদ।
চরমোন্তাজ পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের উপপরিদর্শক নাজমুল হাসান জানান, উত্তর চরমোন্তাজ গ্রামের মধ্য যে খালটি রয়েছে সেখানে কয়টি অবৈধ বাঁধ ছিল। বাঁধের কারণে পানি নিষ্কাশন না হওয়ায় কৃষি জমি তলানো ছিল। ইউএনওর নির্দেশ ও গনমাধ্যমে সংবাদ দেখে স্থানীয় জনসাধারণকে নিয়ে খালের বাঁধ কেটে অবমুক্ত করা হয়েছে।
কৃষকরা বলছেন, দীর্ঘদিন এই খালে বাঁধ দিয়ে মাছ চাষ করে আসছে একটি প্রভাবশালী মহল। এবছরও একই চিত্র ছিল। কিন্তু ইউএনও এবং সাংবাদিকরা তাৎক্ষণিক উদ্যোগের ফলে ৭শ একর জমিতেই এখন চাষাবাদ করা যাবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান বলেন, অবৈধ বাঁধ কেটে খাল অবমুক্ত করা হয়েছে। এখন পানি নিষ্কাশন চলছে।